সমস্যায় সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী : পর্ব ১

সুধাংশু শেখর তালুকদার |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়বিহীন উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জুলাই ১২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সম্মতি দিয়ে সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার সূচনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ ও ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় ৩৫০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের সম্মতি জ্ঞাপন করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শন পরবর্তী স্থাবর অস্থাবর সম্পদ সরকারের অনুকূলে দানপত্র দলিল সম্পাদন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে পর্যায়ক্রমে সরকারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদসহ নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করে পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। তখন থেকেই শুরু হয় সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার বিড়ম্বনা।

আত্তীকরণের সুস্পষ্ট বিধিমালা না থাকায় কখনো ১৯৮৩ আবার কখনো ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের বিধিমালার অজুহাতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষককে কাম্য যোগ্যতার অজুহাতে নিম্নমান সহকারী পদে পদ সৃষ্টি করেন। বয়স/পদ না থাকা/পদের নাম সংশোধনসহ নানা অজুহাতে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ৪-৫ বার মতামত চাওয়া হয়। এভাবে শিক্ষা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি চালাচালির পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন শাখা-২, সহকারী গ্রন্থাগারিক, কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর, ল্যাব/শপ অ্যাসিসটেন্টদেরকে নিম্নধাপে গ্রেড নির্ধারণ করে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে এলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় একত্রে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘সরকারিকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জনবল আত্তীকরণ কমিটির সভাপতি জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খোরশেদা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সরকারিকৃত শিক্ষক কর্মচারীরা বেসরকারি আমলে যে গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, সে গ্রেডেই বেতন নির্ধারণ করা। আত্তীকরণ বিধি প্রক্রিয়াধীন থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করানো হয়, বেসরকারি আমলে  
প্রাপ্ত গ্রেড নির্ধারণ করার জন্য। অর্থ মন্ত্রণালয় পদ ও গ্রেড নির্ধারণ করে নিয়োগ বিধি ২০২১-এর আলোকে। অথচ সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ হয় জনবল কাঠামো ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি অধিকতর সংশোধনী ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মার্চের পরিপত্রের আলোকে। এর পরের কোনো পরিপত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনবল নিয়োগ হয়নি। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের আত্তীকরণ বিধিতে যেসব পদের উল্লেখ নেই এর মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষক ও সহকারী গ্রন্থাগারিককে যোগ্যতা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা বা সামাজিক বিজ্ঞান পদে পদ সৃষ্টি করে বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত গ্রেড-১০ এ বেতন ভাতা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ২০২১ এর নিয়োগবিধির পর থেকে উক্ত পদগুলোকে নিম্ন গ্রেডে পদায়ন করা হচ্ছে। বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আত্তীকরণের জন্য ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের পর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে আত্তীকরণ বিধি চূড়ান্ত হয়। আত্তীকরণ বিধির পরিবর্তে নিয়োগবিধি অনুসরণ করায় আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। 

 
সময়োপযোগী আত্তীকরণ বিধি ২০১৮ তৈরির পর নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দু’তিনবার সংশোধনীর পর খসড়া বিধিমালা জনপ্রশাসন, অর্থ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পর যখন আইন মন্ত্রণালয়ে যায় তখন আত্তীকরণ বিধি ২০২৪ এর ধারা ১০ এ বেতন ভাতাদি নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন স্কেলের আত্তীকৃত গ্রেডে বিধিমোতাবেক বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন’ মর্মে উল্লেখ ছিলো। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় আত্তীকৃত গ্রেডে বিধি মোতাবেক এর পরিবর্তে ‘জাতীয় বেতন স্কেলের সংশ্লিষ্ট গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে স্ব স্ব পদের বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন’ বাক্যটি সংযোজন করে। আর এজন্য সহকারী প্রধানসহ সিনিয়র শিক্ষকরা চরমভাবে আর্থিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
আত্তীকরণের পর বেশকিছু বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
 
সেগুলো হলো- সহকারী প্রধান শিক্ষক: সহকারী প্রধান শিক্ষকরা এমপিওতে ৮ম গ্রেডে ২৩,০০০ টাকা স্কেলে বেতন পেতেন। সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণের পর ৯ম গ্রেডে ২২,০০০ টাকা স্কেলে বেতন দেয়া হয়। এতে উক্ত পদে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে তাদের মূল বেতন দাঁড়িয়েছে ২৮,১০০ টাকা । অথচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মূল বেতন দাঁড়িয়েছে ৩২,৩৯০টাকা। একই পদে কর্মরত আত্তীকৃত এবং এমপিওভুক্ত পদের মধ্যে বেতন বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
 
সিনিয়র শিক্ষক: সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারির পরিপত্রে সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১০ গ্রেডে এমপিওভুক্ত হয়ে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মার্চের পরিপত্রের ধারা ৭ এ সিনিয়র স্কেল পেয়ে ৯ম গ্রেডে ২২ হাজার টাকার স্কেলে এমপিও প্রাপ্ত হয়। আত্তীকরণের পর প্রথম দিকে তাদেরকে ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকার স্কেলে পদায়ন করা হলেও ইনক্রিমেন্টসহ ২১ হাজার ৪৭০ মূল বেতন দেয়া হয়। কিন্তু ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কলেজ বিধি ২০১৮ কার্যকরের পর তাদের মূল বেতন ২১ হাজার ৪৭০ টাকার পরিবর্তে প্রারম্ভিক ধাপ ১৬ হাজার টাকার স্কেলে বেতন দেয়া হয়। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে ইনক্রিমেন্টসহ তাদের মূল বেতন ২০ হাজার ৪৪০ টাকা হয়। অথচ এমপিওতে তাদের সমমানের পদে ২২ হাজার টাকার স্কেলে কর্মরতদের ইনক্রিমেন্টসহ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে এ মূল বেতন দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৯৯০। এতে সিনিয়র শিক্ষকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জাতীয় বেতন স্কেল দেয়ার সময় অথবা চাকরি বেসরকারি থেকে আত্তীকৃত হলে কারো বেতন কমেছে এ ধরনের নজির আছে বলে আমাদের জানা নেই।
 
সহকারী শিক্ষক: সহকারী শিক্ষক অনেকেই ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্রে ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেড প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের পর তাদের চাকরি কাল ৮ বছর পূর্ণ করে সরকারির আওতায় আসায় তারা উচ্চতর গ্রেড বঞ্চিত হয়। অথচ তাদের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা উচ্চতর স্কেল পেয়ে ৯ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
 
সহকারী গ্রন্থাগারিক: ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারির পরিপত্রে সব সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার স্কেলে একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন তাদেরকে যোগ্যতা অনুযায়ী সহকারঅ শিক্ষক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা বা সামাজিক বিজ্ঞান পদে পদায়ন করে ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার স্কেলে বেতন দেয়া হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ বিধি আরোপের পর কর্মরত সহকারী গ্রন্থাগারিকদের স্ব-পদে বহাল রেখে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকার স্কেলে বেতন দেয়া হয়। অথচ এমপিও নীতিমালা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদটিকে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এ রূপান্তর করে ১০ম গ্রেড বহাল রাখা হয়। এতে একই পদে কর্মরত সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকার স্কেলে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০ গ্রেডে ১৬ হাজার টাকার স্কেলে বেতন পাচ্ছেন।
 
কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর: সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত কারিগরি শাখায় কর্মরত কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটররা ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারির পরিপত্রে ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার স্কেলে এমপিওভূক্ত ছিলো। আত্তীকরণের পর তাদেরকে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকার স্কেলে বেতন দেয়া হয়। উক্ত পদে কর্মরতরাও সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকার স্কেল এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকার স্কেলে বেতন পাচ্ছেন।
ল্যাব/শপ অ্যাসিসটেন্ট: ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্রে ল্যাব/শপ অ্যাসিসটেন্ট পদে এমপিওতে ১৬তম গ্রেডে ৯ হাজার ৩০০ টাকার স্কেলে বেতন প্রদান করা হয়। আত্তীকৃত প্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক নিয়োগের পর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তাদেরকে অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করে ২০তম গ্রেডে ৮ হাজার ২৫০ টাকার স্কেলে বেতন দেয়া হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ল্যাব/শপ অ্যাসিসটেন্ট পদে পদ সৃষ্টি করা হয়, কিন্তু ২০তম গ্রেড বলবৎ রেখে ৮, হাজার ২৫০ টাকার স্কেলে বেতন প্রদান করা হয়। এ পদেও সরকারিকৃত প্রতিষ্ঠানে ২০তম গ্রেডে ৮ হাজার ২৫০ স্কেলে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৬তম গ্রেডে ৯ হাজার ৩০০ টাকার স্কেলে বেতন দেয়া হয়।
 
লেখক: আহ্বায়ক, সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশ, ঢাকা

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কোটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর - dainik shiksha কোটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর - dainik shiksha এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ১১ দিন, অফিস ৩ দিন - dainik shiksha দুর্গাপূজায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ১১ দিন, অফিস ৩ দিন প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত: গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি আসামিদের দ্রুত ফাঁ*সির দাবি জানালেন আবরারের মা - dainik shiksha আসামিদের দ্রুত ফাঁ*সির দাবি জানালেন আবরারের মা প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি শেখ হাসিনার পরিবারের নামে সোয়াশ কলেজ স্কুল মাদরাসা - dainik shiksha শেখ হাসিনার পরিবারের নামে সোয়াশ কলেজ স্কুল মাদরাসা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029571056365967