প্রাথমিক বৃত্তির সংখ্যা ও টাকার পরিমাণ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ১ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হলেও এ সংখ্যাকে দেড় লাখ করার চিন্তাভাবনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের  মহারিচালক এফ এম মনজুর কাদির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বর্তমানে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে আর ইবতেদায়ি সমাপনীতে ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয় এ সংখ্যা যথাক্রমে ১লাখ ও ৫০ হাজার করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে নিশ্চিত করেন মহারিচালক এফ এম মনজুর কাদির।

সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত এক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, সভা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হয়। এতে সকলে সম্মতি জানিয়েছেন। বর্তমানে পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে সারাদেশে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ কোটায় মোট ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

এছাড়া ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ৭ হাজার ৫০০ জনকে ট্যালেন্টপুল ও ১৫ হাজার সাধারণসহ মোট ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাবদ ট্যালেন্টপুলে মাসিক ৩০০ টাকা আর সাধারণ বৃত্তি বাবদ মাসিক ২২৫ টাকা করে দেয়া হয়।

সভায় সারাদেশে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীর বদলে এক লাখ ও ২২ হাজার ৫০০ জনের বদলে ৫০ হাজার অর্থাৎ সর্বমোট দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বৃত্তি প্রদান করার বিষয়ে সকলে মৌখিক সম্মতি জানান। পাশাপাশি বৃত্তির অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় আলোচনার ভিত্তিতে বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রস্তাবনা পাওয়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক সংখ্যা নির্ধারণ করবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এফ এম মনজুর কাদির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রাথমিক ও সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা ও অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চিন্তাভাবনা করছেন। অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করে যৌক্তিক বৃদ্ধির প্রস্তাব দ্রুতই পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের মত এবারও সমাপনী পরীক্ষার জন্য ৬০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha কাল থেকে শিক্ষা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ - dainik shiksha ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, আশা প্রধান বিচারপতির দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002626895904541