সরকারি কলেজ শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সমাবেশে নজিরবিহীনভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের একাত্মতা প্রকাশ, স্বশরীরে অংশগহণ ও বক্তৃতা দেয়ার কঠোর সমালোচনা করছেন জাতীয়কৃত ও জাতীয়কণের তালিকায় থাকা কলেজ শিক্ষকবৃন্দ।
শিক্ষক সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “সরকার শিক্ষার এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। আমি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের সমস্যার বিষয়টি জানি বুঝি। অবশ্যই জাতীয়করণ হওয়া কলেজের শিক্ষকদের নন-ক্যাডার ঘোষণা করতে হবে।”
আজ ৮ ডিসেম্বর জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের নন-ক্যাডার ঘোষণার দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রাঙ্গনে মহাসমাবেশের আয়োজন করে বিসি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সকাল এগারোটার সমাবেশে যোগদিতে বাধ্য করা হয় শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। রাজধানী ও আশেপাশের কলেজের ক্লাস বাদ দিয়ে সমাবেশে জড়ো হন সমিতির হাজার খানেক সদস্য। এতে যোগ দিয়ে বক্তৃতা করেন ও দাবির প্রতি সমর্থন জানান মহাপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান। শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদেরকে।
জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মহসীন আলী দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় সরকারি কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ হচ্ছে। সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগের বিরোধীতাকারী সরকারি কলেজের গুটিকয় শিক্ষকের ডাকা সমাবেশে মহাপরিচালক যোগ দিলেন কীভাবে ?
তিনি বলেন, মহাপরিচালক একটি চেয়ার, ওই চেয়ারে যিনি থাকবেন তিনি সবার। সরকারি-বেসরকারি-অসরকারি-আধা সরকারি-হবু সরকারী-এমপিও-নন এমপিও সবার জন্যই মহাপরিচালক। মহাপরিচালক পদটি বাংলাদেশ সরকারের সচিব পদ মর্যাদার ১ম গ্রেডের পদ। মহাপরিচালক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কেউ নেই বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে। তাই সরকার জুলাই মাসে মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্ব দিয়েছেন ওয়াহিদুজ্জামানকে।
১০ শতাংশ কোটায় নিয়োগ পেয়ে শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। এই সমিতির সভাপতি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। বাদবাকীরা শিক্ষামন্ত্রীর বরখাস্ত হওয়া সহকারি একান্ত সচিব মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈর অনুত ও মনোনীত। যেসব দাবির জন্য সমাবেশ করেছেন তা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে উত্থাপন করলেই হয়। কিন্তু তা না করে সমাবেশ করছেন।
অপরদিকে বি সি এস শিক্ষা এসোসিয়েশেনের সভাপতি মুহম্মদ মতিউর রহমান গাজ্জালী ও মহাসচিব ড. মুন্সী শরীফউজ্জামান। মতিউর বেসরকারি কলেজ থেকে জাতীয়কৃত হয়েছেন আর শরীফ উজ্জামান সরাসরি প্রতিযোগীতামূলক বি সি এস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়েছেন।