সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল-সন্ধ্যা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। তবে, লাগাতার সকাল-সন্ধ্যা অবস্থানের দশম দিনে রোববার কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিলো কম। ১০-১২জন শিক্ষককে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানরত অবস্থায় দেখা যায়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট নামের একটি মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এসময় কয়েকজন শিক্ষক নেতা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষকরা খাবারের বিরতিতে আছেন, তাই উপস্থিতি কম। তারা দাবি করেন, অনেকেই অবস্থান কর্মসূচিতে সকাল থেকে অংশ নিচ্ছেন।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, আমরা সকালে এসে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিচ্ছি। আমাদের এখানে অবস্থানের অনুমতি বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তাই বিকেলে অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা ফিরে গিয়ে, পরদিন ফের অবস্থান নিচ্ছি। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা এখনো সব শিক্ষককে অবস্থান কর্মসূচিতে আসতে বলছি না যেন রাজপথে যানজট সৃষ্টি না হয়। আমরা জনদুর্ভোগ কমাতে চাচ্ছি। আমরা তিনজন শিক্ষক ও দু’জন কর্মচারীকে অবস্থান কর্মসূচিতে পাঠাতে আপাতত প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বলেছি। অবস্থানে কেউ আত্মীয় কেউ বন্ধুর বাসায় রাতে অবস্থান করছেন। আবার ফের পরদিন সকালে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করা হলে এ বৈষম্য নিরসন হবে বলে দাবি শিক্ষকদের।