নীলফামারীর জলঢাকায় অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাইভার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি সরকারিকৃত কলেজের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সরকারিকৃত জলঢাকা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নিচ্ছে। যদিও ভাইভা পরীক্ষার জন্য টাকা নেয়ার কোনো বৈধতা নেই।
জানা যায়,কলেজটিতে বাংলা,ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,দর্শন,ইসলামের ইতিহাস,অর্থনীতিসহ সব বিভাগে ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অনার্স চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষায় কোন রশিদ ছাড়াই ইংরেজি বিভাগে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং বাকি সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৫০০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করেছেন শিক্ষকরা। টাকা দিতে শিক্ষার্থীদের চাপও দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা ফরম পূরনের সময় সব টাকা পরিশোধ করেছি,অথচ ভাইভা পরীক্ষার জন্য আমাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী সেই টাকা দিতে না পারলে পরীক্ষা দিতে পারবে না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্যাররা। বাধ্য হয়েই আমরা সে টাকা দিয়ে ভাইভা পরীক্ষা দিয়েছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে গিয়েও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জিকরুল হকের সঙ্গে দেখা করা যায়নি। তিনি কলেজে নেই। এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে, শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।