মেট্রোরেলে জরুরিভাবে দরজা খুলতে যা করবেন

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

মানবসৃষ্ট বা কোনো টেকনিক্যাল কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হলে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সমস্যার কারণ জানিয়ে ট্রেনের ভেতরে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ভেতরের স্ক্রিনে সমস্যার কথাও জানানো হয়। এছাড়া প্রয়োজন হলে জরুরি বহির্গমন দরজাও খোলা যাবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলছে, মেট্রোরেলে এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বা ইএসএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রেন যখন চলে এটি নিজেও কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। চলাচলের সময় ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম থেকে ব্যাটারিতে চার্জ হতে থাকবে।

ডিএমটিসিএল জানায়, দুটি স্টেশনের মধ্যবর্তী কোনো স্থানে মেট্রোরেল থেমে গেলে এটি নিজের রিজার্ভ বিদ্যুৎ দিয়ে কাছের স্টেশনে থামবে। এ ক্ষেত্রে সামনের স্টেশনেও যেতে পারে, আবার রিভার্স নিয়ে পেছনের স্টেশন যেটা কাছে থাকবে সেখানেও যেতে পারে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার পর অটোমেটিক ডোরগুলো খুলে যাবে।

কখনও মেট্রোরেলে যদি জরুরি বহির্গমন দরজা খোলার প্রয়োজন পড়ে তাহলে ড্রাইভার নির্দেশনা দেবেন। প্রতিটি দরজার ওপরে লাল রঙের একটি জরুরি বহির্গমন দরজা খোলার নির্দেশিকা সম্বলিত স্টিকার টাঙানো আছে। স্টিকারের পাশে একটি কাভার আছে। প্রথমে ড্রাইভারে নির্দেশনা অনুযায়ী সেই কাভারটি খুলতে হবে। কাভারটি খোলার পর ভেতরে একটি হাতল পাওয়া যাবে। হাতলটি নিচের দিকে টানতে হবে। এরপর দরজা খুলতে পাল্লার উভয় দিকে টানতে হবে। এরপরই দরজা খুলে যাবে।

এ ছাড়া যদি জরুরি কোনো প্রয়োজনে মেট্রোরেলের অপারেটর বা চালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে মেট্রোরেলের দরজার পাশে থাকা আপৎকালীন বোতাম চেপে কথা বলতে পারবেন। মেট্রোরেলের প্রতিটি বগির দরজার পাশে লাল রঙের একটি বোতাম আছে। তার ওপরে নির্দেশনার একটি স্টিকারও লাগানো আছে। 

আপৎকালীন কথা বলার বোতাম শিরোনামে স্টিকারটিতে লেখা আছে, বোতামের কাভারটি খুলুন। চালকের সঙ্গে কথা বলতে বাতিটি না জ্বলা পর্যন্ত বোতামটি চেপে রাখুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029799938201904