সরকারি কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট ফি দাবি করে বিজ্ঞপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনাকালে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বা পরীক্ষা কোনোটাই হচ্ছে না। এর মধ্যেই সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ৬০০ টাকা ফি নির্ধারণ করায় হতবাক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গত ১৪ জুন এই ফি নির্ধারণ করে নোটিশ দেন কলেজ অধ্যক্ষ। এ ধরনের ফি সুনামগঞ্জের আর কোনো কলেজই নির্ধারণ করেনি।সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে এ বছর ৬৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। কলেজটি ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সব ধরনের ফি রাখলেও করোনার কারণে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণ করতে পারেনি কোনো শিক্ষার্থীই।

গেল ১৪ জুন সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক পরাগ কান্তি দে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, '২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, তাদের অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক ছাত্রীকে ৬০০ (ছয়শ) টাকা শিওর ক্যাশের মাধ্যমে আগামী ২৪ জুন (অর্থাৎ আজ) বৃহস্পতিবারের মধ্যে জমা দিতে হবে।'

এই নোটিশ পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হন। একজন অভিভাবক লিখেন, 'করোনায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাঠ চুকে গেছে, কম বয়সে নিজের মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসাচ্ছেন অনেকে, এর মধ্যেই বিনা কারণে ফি নেবার বিষয়টি বড় কষ্টের। সরকারি কলেজে মেয়েকে পড়াচ্ছি, অ্যাসাইনমেন্টের কাগজ-কলম সব আমরা দেব, শিক্ষকদেরও সরকার বেতন দিচ্ছে। এরপরও অ্যাসাইনমেন্ট জমা বা মূল্যায়নের জন্য কিসের ফি চান তারা?'

সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ বললেন, অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ফি রাখার নির্দেশনা নেই, আমরাও রাখিনি।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ জানালেন, কলেজে ভর্তির সময় মানবিক বিভাগের ছাত্রদের জন্য ২২০৩ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের জন্য ২৩০৩ টাকা রাখা হয়েছে। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মানবিক বিভাগে ১৯৬৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগে ২০৬৩ টাকা রাখা হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমসহ সব খরচ এই ভর্তির টাকা থেকেই করা যাচ্ছে। অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টাকা গ্রহণের কোনো নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর দেয়নি। কারও রাখারও কথা নয়।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক পরাগ কান্তি দেব বললেন, 'একাদশে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অভিভাবকদের ওপর চাপ কমাতে অন্য কলেজ থেকে কিছুটা কম ১৬৫০ টাকা রাখা হয়েছে। এজন্য অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ, গ্রহণ, মূল্যায়ন ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক ছাত্রীকে ৬০০ টাকা দিতে বলা হয়েছে। ভর্তির সময় এই টাকা রাখলে এখন আর দিতে হতো না। তাদের আপত্তি থাকলে পরের বছর থেকে ভর্তির সময়ই আমরা এই টাকা নিয়ে নেব।'

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032970905303955