সরকারি কলেজেগুলোতে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিড-লেভেলের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেতা মিলে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তারা শিক্ষামন্ত্রী-উপমন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের অজ্ঞাতে বদলি করেন। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের বদলি বাণিজ্যে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সিলেটের জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কোনো এক অজ্ঞাত কারণে একে একে বদলি শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ ১৮ অক্টোবরের এক বদলির আদেশের পর শুধু অধ্যক্ষই কলেজটিতে একমাত্র শিক্ষক হিসেবে ছিলেন। কলেজটির মোট ১১টি পদের সবাইকেই ততোদিনে বদলি করা হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ১৯ অক্টোবর দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘রইলেন শুধু অধ্যক্ষ’ আর ২০ অক্টোবর দৈনিক আমাদের বার্তায় ‘একে একে এগারো বদলি সবেধন নীলমনি অধ্যক্ষ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
শিক্ষা ক্যাডারদের বদলি বাণিজ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করতে গত মঙ্গলবার কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় সরকারি মাধ্যমিক অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. আবদুল মতিনকে। সদস্য সচিব করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মনোনীত একজন উপপরিচালককে। সদস্য করা হয় উপসচিব মোল্লা মিজানুর রহমানকে।
কমিটি গঠন করে জারি করা আদেশে মন্ত্রণালয় জানায়, কলেজ শূন্য করে শিক্ষক বদলি করার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করবে এ কমিটি। আগামী সাত দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে কমিটিকে। প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে তথ্য যদি থাকে সেগুলোও সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।