সরকারি কলেজে যাচ্ছে এমপিওভুক্তির ভাগ্য

মুরাদ মজুমদার |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ভাগ্য নির্ধারণ করবেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি ও ভোগান্তি কমাতে এমন উদ্যোগ বলে দাবি শিক্ষা কর্তাদের। এজন্য এমপিওভুক্তির কাগজপত্র যাচাই করতে স্থানীয় সরকারি কলেজে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের কাজে লাগানো হবো।

দৈনিক শিক্ষাডটকম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানের পরিকল্পনায় শিক্ষা বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘শিক্ষা বৈঠকীতে অংশ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এমপিওর জন্য জমা দেওয়া কাগজপত্র যাচাই করতে দেয়া হবে স্থানীয় বড় সরকারি কলেজ শিক্ষকদের। বর্তমানে যে কাজটা উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা করছেন।’ 

সম্প্রতি দেশটিভি ও দৈনিক শিক্ষাডটম-এ প্রচারিত লাইভে মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ধরুন, ঢাকা অঞ্চলের এমপিওর কাগজ যাচাইয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তেমনি চট্টগ্রাম অঞ্চলেরগুলো চট্টগ্রাম কলেজে। এতে দুর্নীতি ও ভোগান্তি কমবে।  

বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রিপদে (প্রভাষক, সহকারি শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক শিক্ষক, মৌলভী শিক্ষক ইত্যাদি) নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। আর অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকসহ প্রশাসনিক পদ এবং অফিস সহকারিসহ অন্যন্য নিয়োগের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির। 

নিয়োগের পর এমপিওভুক্ত হতে অনলাইনে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সব কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হয় শিক্ষক-কর্মচারীদের। পুরো কাজটির দায়িত্বে আছে তিনটি পৃথক অধিদপ্তর। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। তিন অধিদপ্তরের এমপিওর ডেস্কে কর্মরতদের ৯০ শতাংশই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালকসহ কয়েকটি পদে প্রশাসন ক্যাডার। 

দৈনিক আমাদের বার্তার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষা প্রশাসনে সর্বজনবিদিত কয়েকটি দুর্নীতিপ্রবণ খাতের মধ্যে এমপিওভুক্তি (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পাওয়ার নাম) অন্যতম। গত প্রায় ৪০ বছর ধরে এমপিওভুক্তির ৯০ শতাংশ কাজই করে আসছেন শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও হাইস্কুল শিক্ষকরা। নিয়োগ বোর্ডে মহাপরিচালকের প্রতিনিধিও থাকছেন তারাই। বাকী কাজ করছেন আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। উপ-পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি হাইস্কুল শিক্ষকরাও রয়েছেন। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরতরা প্রায় ৩০ বছর আগে উপবৃত্তির জন্য নিযুক্ত উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা—যারা পরে রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে ত্রিশ হাজারের বেশি হাইস্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত রয়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026299953460693