দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়েছেন জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি ও এমপি মঈনুদ্দিন খান বাদল।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ অধিবেশন পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ স্পিকার থাকাকালীন ২০১২ সালে ৩১ জানুয়ারি সংসদে বলেছিলেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় ৩০ এর পরিবর্তে ৩৫ করা বাঞ্ছনীয়।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর।
যখন গড় ৫০ ছাড়ল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স হলো ৩০ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ বছর কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স সেই ৩০ই রয়ে গেছে। তবে অন্যান্য সব প্যারামিটারগুলো কিন্তু আমরাই বাড়িয়ে ফেলেছি। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, প্রাথমিকে ছেলে-মেয়েদের প্রবেশের বয়স করেছি ৬ বছর, স্নাতক এবং সন্মান এক বছর এক বছর করে বাড়িয়ে দিয়েছি। সেই কারণে ২৩ বছরে লেখাপড়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বললেও কিন্তু বস্তুত ২৭-২৮ বছরে আগে তা শেষ হচ্ছে না। এ সময় সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সংবিধানেই উল্লেখ আছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য না রেখে সমতা নির্ধারণ করতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উদাহরণ দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়া ৩৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর। সুতরাং রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে সš§ুখভাবে উপলব্ধি করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ করার যায় কি না বিবেচনার আবেদন রাখছি।