বাগেরহাটে সরকারি পিসি কলেজের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনে তারা অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে অনিয়মের বিষয়ে অধ্যক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করোনাকালীন সুরক্ষা নীতিমালা কলেজ কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, কলেজের শিক্ষার্থীদের নিজস্ব অর্থে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তহবিলের টাকায় কলেজ মসজিদের সামনে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কোনো যানবাহন না চললেও রাস্তাটি এক মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নিম্নমানের কাজের কারণে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কারণে অধ্যক্ষসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে অনিয়মের বিষয় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে অধ্যক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির মধ্যস্থতায় প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন তারা।
এ বিষয়ে সরকারি পিসি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাকিলুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা অনিয়মের বিষয়ে যে অভিযোগ তুলেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি পিসি কলেজে ৩২টি কম্পিউটার, ১০টি ল্যাপটপ, ১১টি প্রজেক্টর, একটি ফটোকপি মেশিন, পাঁচটি প্রিন্টার ও একটি স্ক্যানার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে সিইডিপির প্রকল্পের সরবরাহকৃত মালপত্র আমরা শুধু গ্রহণ করেছি।