দৈনিক শিক্ষাডটকম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : সরকারি বিধি উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের একটি সদ্য সরকারিকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে গণিত কোচিং সেন্টার খোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তার কোচিং সেন্টারে পড়াতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দুই বিদ্যালয়ে চাকরি করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে রৌমারী চৌধুরী গওহরুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, শিক্ষক রুহুল আমিন রৌমারী চৌধুরী গওহরুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে গণিত কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন। ভালো ফলাফলসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে তার চাকরিরত রৌমারী চৌধুরী গওহরুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে ভর্তি করতে বাধ্য করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গণিত কোচিং সেন্টার পরিচালক ও রৌমারী চৌধুরী গওহরুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রহুল আমিন বলেন, কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় তা সত্য। তবে আমি পার্টটাইম শিক্ষক। আমি কোনো পরিচালক না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছিলাম সত্য। তবে উচ্চ বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার পর আমি ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। তবে তিনি সরকারি বেতন এবং সুবিধা নেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে রৌমারী চৌধুরী গওহরুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা বলেন, ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে এবং ভয় দেখিয়ে কোচিংয়ে ভর্তি কিংবা পড়ানোর বিষয়ে শুনেছি। এ বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজখবর এবং সরেজিমনে যেকোনো মুহূর্তে ওই কোচিং সেন্টারে যাওয়া হবে। যদি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী চৌধুরী গওহরুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেননি। তবে সরকারি কোনো শিক্ষক কোচিং সেন্টার খোলা কিংবা জড়িত থাকতে পারবেন না। কোচিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।