সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অংশ নিতে নির্দেশ

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠায়।

নির্দেশনায় বলা হয়, টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেনশন স্কিমে অংশ নিতে হবে।

সরকার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা ২০২৩ প্রণয়ন করে।

এর আগে ব্যাংকখাতের কর্মীদেরও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, আড়াই লাখ এনজিও কর্মীকেও স্কিমের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত পেনশন তহবিলের সংগৃহীত চাঁদার ২১ কোটি টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা এখনও ২০ হাজারের নিচে। ৬ মাসে জমা পড়েছে মাত্র সাড়ে ২৮ কোটি টাকা। এর কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখনও এ আর্থিক সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন নয় দেশের বড় জনগোষ্ঠী। পাশাপাশি আছে আর্থিক খাতের নেতিবাচক ভাবমূর্তির প্রভাব। 

পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রবাসীদের অংশগ্রহণ আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রচারে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। 

২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের পর আনুপাতিক হারে কমতে থাকবে তরুণ জনশক্তি। বাড়বে বয়স্ক, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী। এমন বাস্তবতায় সরকার জনগণের শেষ বয়সের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করে। গত বছরের ১৭ আগস্ট পেনশনের ছয়টি স্কিমের মধ্যে চালু হয় 'প্রবাস’ ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’ ও ‘সমতা’।

কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক পেনশন পাওয়ার এ উদ্যোগে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। প্রায় ৬ মাসে ১৯ হাজার ১৫৮ জন চাঁদা দিয়েছেন। তহবিলে জমা ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। 

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলছেন, সঞ্চয়পত্রের মতো গ্রাহকের এই অর্থেরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে সরকার। বিষয়টির জোর প্রচারের তাগিদ দেন এই অর্থনীতিবিদ।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027070045471191