এবার অমর একুশে বইমেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বইমেলার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবার নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। এখন পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্তই আছে। প্রধানমন্ত্রী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় আসবেন এবং তিনি মেলায় উদ্বোধন ও পরিদর্শনের পর আমরা সবার জন্য বইমেলা উন্মুক্ত করে দেব। আমাদের প্রস্তুতি ভালো আছে এবং এখন পর্যন্ত সব কিছু আমাদের মতো করেই খুব ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, আমরা এটি সুন্দর এবং সফলভাবে সমাপ্ত করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটিকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখব যেন আমরা যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে এটি সম্পূর্ণ করতে পারে। আর বইমেলার একটি নীতিমালা আছে। এখানে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের সবাইকে সেই নীতিমালা মেনেই অংশ নিতে হবে। এ ছাড়া একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে, যেটির মাধ্যমে যেসব প্রতিষ্ঠান এই বইমেলা নীতিমালার বাইরে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বইমেলায়ই ৭ সদস্যের এই টাস্কফোর্সের একটি কমিটি থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই মেলার মাধ্যমে মুক্তচিন্তার কোনো ব্যাঘাত ঘটবে বলে আমার মনে হয় না। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কারো বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ বা অগ্রহণযোগ্য কিছু আমরা চাই না। কেননা এটি একটি মুক্তচিন্তার জায়গা। এটি আমাদের প্রাণের মেলা, আমরা চাই না প্রাণের মেলায় কেউ কাউকে নিয়ে কটু কথা বলুক।’
আদর্শ প্রকাশনীর অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বইমেলার যে নীতিমালা আছে তা মেনে তারা অবশ্যই মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে তাদের নতুন যে দাবি নিয়ম-নীতি সংস্কার, সেটি সময়ের ব্যাপার, হুট করে চাইলেই সেটি সম্ভব নয়। গত বছর তাদের বইয়ে আপত্তিকর কিছু ছিল, যে ব্যাপারে এবার আপত্তি জানানো হয়েছিল। সেদিক থেকে ১০ জনের যে নিয়ম, সেটি মেনেই আদর্শকে বইমেলায় আসতে হবে এবং শুধু আদর্শ নয়, সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম-নীতি কার্যকর।’
এবারের মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৭২টি প্রতিষ্ঠান এবং ৭১০টি ইউনিট ও বাংলা একাডেমিতে ১০৩টি প্রতিষ্ঠান ও ১৪৭টি ইউনিট অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া প্যাভিলিয়ন আছে ৩৪টি। সঙ্গে ফুডকোর্ট, নামাজের জায়গাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে।