রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি ও অগ্নিসন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জাতীয় সংগঠন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি)।
গতকাল মঙ্গলবার এ সংগঠনটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম এ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলমান আন্দোলন একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র অসৎ উদ্দেশে সামাহীন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থপনা ও প্রতিষ্ঠান--বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, মেট্রোরেল-এর ২টি স্টেশন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা, এক্সপেসওয়ের টোলপ্লাজা, নরসিংদী জেলা কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি ও বেসরাকরি প্রতিষ্ঠানে--হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করে, যা কোনো স্বাধীন-সভ্য দেশে চলতে পারে না।
এটি পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে তার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেকে বিচ্যুত করে পরাধীন, পরনির্ভরশীল জাতিতে রূপান্তর করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র বলে আইডিইবি’র নেতারা মনে করেন।
দেশপ্রেম বিবর্জিত এই ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তচক্রকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমৃলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে আইডিইবির নেতারা।
আইডিইবি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার চির কাঙ্ক্ষিত শোষণবঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান।
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা উন্নয়ন-উৎপাদনে নিয়োজিত থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
আইডিইবি নেতরা দেশপ্রেমিক সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীকে যথাযথ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে জানমাল রক্ষায় যথার্থ পদক্ষেপ নেয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।