বরিশাল মহানগরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে আকস্মিক অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে সাইফুরসসহ ৫টি কোচিং সেন্টার মালিককে আর্থিক দণ্ড দেন আদালত। এসময় কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধও করে দেওয়া হয়। বৃহষ্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল মহানগরের ব্রজমোহন কলেজসহ কয়েকটি এলাকায় ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। দরজায় তালা দিয়ে ভেতরে কোচিং চলছিলো। হঠাৎ ম্যাজিস্ট্রেট হাজির হন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে সহযোগিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত নগরের গোরাচাদ দাস রোড, ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ রোড, বৈদ্যপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নেমে দেখতে পান ৫টি কোচিং সেন্টার খোলা রেখে কোচিং করাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগে ব্রজমোহন কলেজ রোড এলাকায় সাইফুরস কোচিং-এর হারুন অর রশীদ, গোরাচাদ দাস রোড এলাকায় ইডেন গার্লস একাডেমির মো. তানজিল খান, বৈদ্যপাড়া এলাকার নলেজ একাডেমির মাহফুজুর রহমান, অনির্বাণ কোচিং এর অঞ্জন বণিক, বিসিএস একাডেমির মো. মিন্টুকে আর্থিক দণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার দায়ে প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে কোচিং চালানো কয়েকটি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার সময় সব ধরণের কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশনা অমান্যকারী কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে দ-বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক ৫টি কোচিং সেন্টারকে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অভিযানে নগরের বেশিরভাগ কেচিং সেন্টারকে তলাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময় সব ধরণের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। ওই নির্দেশনা অমান্য করে যারা কোচিং সেন্টার পরিচালিত করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার অংশ হিসেবে বরিশালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ না রাখলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি।