সাক্ষরতার হার এক দশকে বেড়ে ৭৩ শতাংশ

শরীফুল আলম সুমন |

শিক্ষা খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে গত ১০ বছরে। প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগ, ঝরে পড়া কমেছে অনেকাংশেই। প্রাথমিকের এক কোটি ৩০ লাখ শিশু উপবৃত্তি পাচ্ছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও অর্জিত হয়েছে জেন্ডার সমতা। কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে শিক্ষার্থীর হার ১৪ শতাংশ। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় চার কোটি শিশু বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যে বই পায়। সাক্ষরতার হার ১০ বছরে বেড়ে হয়েছে ৭৩ শতাংশ। শিক্ষা অবকাঠামোতেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এখন আগের মতো ভাঙা স্কুল-কলেজ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, বিনা মূল্যের বই, উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিংসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের সুফল মিলছে এখন। বিশেষ করে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাওয়ায় শিক্ষার প্রতি সবার আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে বেড়েছে মেয়েদের আগ্রহ। এ কারণে কমেছে বাল্যবিয়ে। কমছে ঝরে পড়াও। শিক্ষা খাতে এত উন্নতির কারণেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তবে সামনের চ্যালেঞ্জ  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন। এখন প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন।

জানা যায়, বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার ৫১ শতাংশ আর ছেলেদের ৪৯ শতাংশ। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অংশগ্রহণ মেয়েদের ৫৩ শতাংশ ও ছেলেদের ৪৭ শতাংশ। আগামী ছয়-সাত বছরের মধ্যেই উচ্চশিক্ষায়ও এ ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে সমতা আসবে। শিক্ষা খাতে বিপ্লবের কারণেই এমডিজির লক্ষ্য পূরণে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি। ২০০৯ সালে দেশের ৯ শতাংশ শিশু বিদ্যালয়ে যেত না। তাদের মধ্যে আবার ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা শেষ করার আগেই ঝরে পড়ত। বর্তমানে প্রায় শতভাগ শিশুকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ৪৮ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৯ শতাংশে এসেছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালে একযোগে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে, যা বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অর্জন।

এসব বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শতভাগ শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতা অর্জন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তাতে আমরা বেশ আগেই সফল হয়েছি। তবে এই কাজে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে বিনা মূল্যের বই বিতরণ। যত সমস্যাই হোক না কেন গত ১০ বছর ধরে আমরা বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছি। মাদরাসা শিক্ষা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাকে এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন কারিগরিতে শিক্ষার্থীর হার ছিল ১ শতাংশ, এখন তা ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় আমরা শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন। এ ব্যাপারেও এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই আমরা এতেও সফল হব।’

গত সাড়ে ৯ বছরে সরকারের অন্যতম অর্জন সব শিশুর হাতে বছরের প্রথম দিনেই বিনা মূল্যের বই তুলে দেওয়া। প্রতি বছর চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ৩৬ কোটি বই পাচ্ছে বিনা মূল্যে। তবে এখন চ্যালেঞ্জ এসডিজি অর্জন। এ লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে সব শিশুকে প্রাক-শৈশব উন্নয়ন ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। অধিকতর শিখনের জন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অসমাপ্ত রাখা শিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হবে।

জানা যায়, শিক্ষা খাতের নানা উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে মানোন্নয়নের নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এসব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গত ১০ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে সংখ্যাগত অর্জনটা বেশি। আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, জেন্ডার সমতা নিশ্চিত হয়েছে। একই সঙ্গে ভৌত সুবিধাও বেড়েছে। বিনা মূল্যে বই দেওয়া, একযোগে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা সরকারের বড় অর্জন। তবে গুণগত মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের পেছনে। মানসম্মত শিক্ষার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা দরকার।’

কারিগরিতে বাড়ছে শিক্ষার্থী : এশিয়ার মধ্যে দ্রুত উন্নতি করা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার উন্নয়নের প্রধান শর্ত হিসেবে ধরা হয় কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন। সিঙ্গাপুরে এই শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ায় ৪০ শতাংশ। অথচ ২০০৯ সালে বাংলাদেশে কারিগরিতে এই হার ছিল ১ শতাংশেরও কম। বর্তমানে কারিগরিতে শিক্ষার্থীর হার ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে। সরকার ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ শতাংশে এবং ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে। অধিকসংখ্যক মেয়েকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ২০ শতাংশ কোটা চালু করা হয়েছে। মেয়েদের জন্য সাত বিভাগে করা হয়েছে সাতটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটও। কারখানার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে।

স্কুলে স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম : কয়েক বছর আগেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা জানত না ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কী। কিন্তু এরই মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩ হাজার ৩৩১টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। বাকিগুলোতে এমন ক্লাসরুম করার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এমন ক্লাসরুম করা হয়েছে অনেক স্কুলেই। আর ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিডিওচিত্র ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো বিশ্বই এখন হাতের মুঠোয় শিক্ষার্থীদের। গ্রামের শিক্ষার্থীরাও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে পড়ালেখা করছে।

শিক্ষায় শৃঙ্খলা : আগে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা, কলেজে ভর্তি ও ক্লাস শুরু হওয়ার নির্ধারিত কোনো সময় ছিল না। পরীক্ষার ফল বের হতে তিন-চার মাস লাগত। এভাবে একটি বছর নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এখন সব কিছুতেই ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা। কয়েক বছর ধরে একই সময়ে পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে। প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি এবং ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর নিয়মিতই ৬০ দিনের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফল। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হয় ১ জানুয়ারি। আর উচ্চ মাধ্যমিকে ক্লাস শুরু হয় ১ জুলাই।

শিক্ষা অবকাঠামোতেও বিপ্লব : একসময় স্কুল ভবন ছিল মলিন চেহারার। একই ধরনের নকশা, একই ধরনের নির্মাণ। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দ করা নকশায় নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দর ভবন। শিক্ষার্থীরা যাতে স্কুলভবন দেখেই আকৃষ্ট হয় সেভাবে ভবন নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট ১২ হাজার ৪৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১০ হাজার ৩০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হয়েছে এবং দুই হাজার ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রায় ১৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার দুটি ‘মেগা প্রকল্প’ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ছয় হাজার ২৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মো. হানজালা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী দুজনেই আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক ভবন করতে। সেই অনুযায়ী নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন দেশে ভাঙাচোরা কোনো স্কুল-কলেজ ভবন খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর যেসব প্রকল্প চলমান আছে তা বাস্তবায়িত হওয়ার পর অবকাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আসবে।’

বেড়েছে সাক্ষরতার হার : ২০০৮ সালে ১৫ বছর বয়সের ওপরের মানুষের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ। কিন্তু গত ১০ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ শতাংশে। বর্তমানে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ নামে নতুন একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। ৪৫২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা প্রদানসহ জীবন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। স্কুলবহির্ভূত ও ঝরে পড়া দরিদ্র শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনতে ‘রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক)’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

বিপুল সম্ভাবনা উচ্চশিক্ষায় : বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী বর্তমানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। আর এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি খাত। বর্তমানে ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০১টি। আর মোট শিক্ষার্থীর ৬৩ শতাংশই পড়ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষণার সুযোগও দিন দিন বাড়ছে। একসময় প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী শুধু ভারতেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যেতেন। সেটা এখন প্রায় শূন্যের কোটায়। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীও অধ্যয়ন করছে।

 

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055971145629883