সাত শিক্ষককে জোর করে বেতন তুলতে না দেয়ার অভিযোগে এক মাদরাসা প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমপিওভুক্ত ওই সাত শিক্ষককে বেতন তুলতে দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ এ প্রধানের বিরুদ্ধে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করলেও তিনি সহযোগিতা করেননি। অধিদপ্তর থেকে বারবার যোগাযোগ করে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হলেও তিনি সাড়া দেননি। শিক্ষকদের বেতন তুলতে না দেয়া, তদন্ত কমিটিকে সহায়তা না করা ও আদেশ অমান্য করায় এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী তার এমপিও বন্ধ হওয়ার কথা। এসব অভিযোগে ওই প্রধানের এমপিও বন্ধ কেনো হবে না তা জানতে চেয়ে তাকে শোকজ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
শোকজ করা ওই মাদরাসা প্রধানের নাম মো. মোকলেসুর রহমান। তিনি ময়মনসিংহের গফারগাঁও উপজেলার যশরা আয়েশা হাসান দাখিল মাদরাসার সুপার। যদিও সুপার মো. মোকলেসুর রহমান দাবি করেছেন, তিন শিক্ষকের সনদ জাল থাকায় কমিটির সভা করে তাদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটিকে অসহযোগিতা ও কাগজপত্র না নিয়ে আসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার যশরা আয়েশা হাসান দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মোকলেসুর রহমানকে শোকজ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচলক মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, সুপারের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, এমপিওভুক্ত ৭ শিক্ষককে বেতন জোর করে তুলতে না দেয়া, অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটিকে সহায়তা না করা ও অধিদপ্তর থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হাজির না হওয়া চাকরি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্যের সামিল। এসব কারণে মাদরাসার এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী তার এমপিও কেনো স্থগিতসহ স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে না বলে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেয়ার জন্য বলা হলো।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে সুপার মো. মোকলেসুর রহমান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তিন শিক্ষকের সনদ জাল বলে শনাক্ত হয়েছে। তাদের দুইজন নিবন্ধন সনদ জাল করে ও একজন বিপিএড সনদ জাল করে চাকরি করছেন। ডিআইএর অডিটে বিষয়টি উঠে এসেছে। এ বিষয়ে একটি মামলায় ওই তিন শিক্ষক গ্রেফতার হয়ে চার মাস জেল খাটেন। তাই কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই তিন শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা মনে হয় অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, অধিদপ্তর থেকে শোকজ নোটিশ এখনো হাতে পাইনি। অধিদপ্তর যদি বলে আমি তদন্ত কমিটিকে সহায়তা না করি নি তাহলে তা ঠিক নয়। আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে কাগজ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বলা হলেও তা হয়নি। সুপার এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি বলেও দাবি করেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।