সাত শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচ শিক্ষক

বরিশাল প্রতিনিধি |

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়নে রামনগর গ্রামে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে মরহুম আলমগীর হোসেন মৃধা প্রতিষ্ঠা করেন রামনগর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে নিম্ন মাধ্যমিক থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিকে এমপিওভুক্ত হয়। 

বিদ্যালয়টিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন জগদীশ চন্দ্র রায়। সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন চার জন। তারা হচ্ছেন- খালেকুজ্জামান, আবু জাফর, শাহনাজ পারভিন ও ফিরোজা বেগ। এই পাঁচ জন শিক্ষক দ্বারা বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম পাঠদান চলছে।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সব শ্রেণিকক্ষ মিলে উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৭ জন। তাদের পড়ানোর জন্য আছেন পাঁচ জন শিক্ষক। অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকেরা গল্পে ব্যস্ত সময় পার করছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে খেলাধুলায় ব্যস্ত। বিদ্যালয়টিতে দেখা যায়, ৪টি ক্লাস রুম রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১ জন, সপ্তম শ্রেণীতে ৩ জন ও অষ্টম শ্রেণিতে ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। 

এছাড়াও অপর একটি ক্লাস রুমে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি টেবিলে ও বেঞ্চে মোট ৭ জন শিক্ষার্থী বসে রয়েছে। যা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, আশেপাশে বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকায় আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আপনারা কেন পড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় আমরা এলাকার কিছু ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা পাঠদান দিয়ে থাকি। তারা পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলে আমাদের মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। 

তিনি সংবাদ প্রকাশ না করা হয় এজন্য অনুরোধ করে বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক কিছুদিন আগে অবসরে গেছে। আমরাও দুই-তিন বছর পরে অবসরে যাব আপনারা সংবাদ প্রকাশ করলে আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, মানসম্মত পাঠদান না করায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। বিদ্যালয়টি  এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষা  থেকে বঞ্চিত হবে। অচিরেই বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে উন্নত হয় ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় সেজন্য সংশ্লষ্টি র্কতৃপক্ষরে সুদৃষ্টি কামনা করছনে তারা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমি আগামীকাল রামনগর নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে যাবো। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এত কম থাকার কথা নয়। যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! - dainik shiksha দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান - dainik shiksha বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক - dainik shiksha বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ - dainik shiksha ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল - dainik shiksha ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048220157623291