সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নি ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। সদ্য প্রয়াত এ জননেতা স্ত্রী, দুই কন্যা, জামাতা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ফিজার। তার জামাতা আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তারিক শমী এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবার।
দীর্ঘদিন ধরে গলার ক্যান্সারে ভুগছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। জনপ্রিয় এ সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে দিনাজপুর আওয়ামী লীগ পরিবারসহ তার নির্বাচনী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য, ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ -এর সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ১৩ অক্টোবর ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সেনা হেফাজতে এবং ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের জন্য জেলে প্রেরণ করা হয় তাকে।
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবার এবং পরবর্তীতে ১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩১ জুলাই ২০০৯ থেকে ২১ নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত ভূমিপ্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হন।