জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু ও তার লোকজন মধ্যযুগীয় কায়দায় পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেন আবাহনীর ওপর নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নির্যাতনের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় মেয়রের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ভিক্ষুব্ধরা। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মরকলিপি জমা দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর হোসেন আবাহনীর বাবা আব্দুর রশিদ, বোন রিক্তা বেগম এবং এলাকাবাসী মো. সাজু মিয়া ও সুমন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, ফেসবুক লাইভে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন নূর হোসেন আবাহনী। গত বুধবার ইফতারের আগে পৌর মেয়রের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করেন। সন্ধ্যার পর খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়, পরে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন নিজেই বাদী হয়ে নূর হোসেন আবাহনীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
বক্তরা নূর হোসেন আবাহনীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান এবং পৌর মেয়রের বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, লাইভে নূর হোসেন আবাহনীকে বলতে শোনা যায়, প্রিয় জামালপুরবাসী, আজকে আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাব। আপনারা অতীতে দেখেছেন যে কিভাবে পাকিস্তানিরা আমাদের শাসন এবং শোষণ করেছে।
এখন আপনারা দেখতে পাবেন পাথালিয়া পশ্চিমপাড়ায় কীভাবে শাসন এবং শোষণ হচ্ছে। আমাদের পৌর মেয়র মহোদয় ছানোয়ার হোসেন ছানু বাড়ি করবে বলে এই জমিগুলা নিয়েছে। প্রথমে সে সেচ পাম্প দিয়ে কৃষকদের পানি দেয়া বন্ধ করেছে। পানি দেয়া বন্ধ করার ফলে কৃষকরা সেখানে আবাদ করতে পারে নাই। আবাদ না করার ফলে ওই যে ছোট ছোট খুঁটিগুলো দেখছেন, এই খুঁটিগুলো লক্ষ্য করে জমি দখল করে নেবে। মাঝখানে কার জমি পড়েছে, সেটা তার দেখার বিষয় না।