সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনের লেখা বই ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা’এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে বইটির মোড় উন্মোচন করা হয়।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনে সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা’বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সেই গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও এ বিষয়ে তার লেখা বই প্রকাশনা উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরআই চেয়ারম্যান ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমদ, অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও কবি আবদুল হাই শিকদার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শিক্ষা আজ সনদ বিক্রির ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সিলেবাস, শিক্ষা পদ্ধতি যুগোপযোগী করাও জরুরি। বাজেটে কারিগরি শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করতে হবে। এতে দেশের রেমিট্যান্স বাড়বে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। সেমিনারে ড. খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, পাবলিক পরীক্ষার নকল বন্ধ করার কথা উঠলেই দেশের শিক্ষিত সমাজ ড. মিলনের কথা বলেন।
ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, ৩৭টি মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফেরারি অবস্থায় যখন বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক সভা-সেমিনারে অংশ নিলাম, দেখলাম আমাদের দেশের শ্রমিকরা প্রবাসে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মূল সমস্যা হলো, কারিগরি শিক্ষার অভাবে তারা দক্ষ শ্রমিক হতে পারছে না। এরপরই এই বিষয়টি আমি চিন্তা করি এবং আমার পিএইচডি গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারণ করি। আমাদের বিশাল জনশক্তিকে মানবশক্তিতে পরিণত করতে হলে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপরে আজ গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে।