সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের বর্তমান অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মামলায় হাজিরা দিতে আদালতপাড়ায় মিলন। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার। এই নিয়ে ‘মিলন আটক মিলন নাটক’ রোববার (১৮ নভেম্বর) দিনভর এমনটা ছিল টক অব দি চাঁদপুর। শেষপর্যন্ত সবই ছিল গুজব। তবে তাঁর সহধর্মিনী স্বামীর নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে গেছেন, এমন তথ্যের সত্যতা মিলেছে।

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলনের সহধর্মিনী তার স্বামীর নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। কারণ, মিলন দুই ডজনেরও বেশি মামলার ফেরারি। তাই রোববার বিকেলে নাজমুন নাহার বেবী তাঁর স্বামী মিলন যেন চাঁদপুরের আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন পেয়ে নিরাপদে থাকতে পারেন, এই বিষয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নাজমুন নাহার বেবী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার কাছে আবেদন নিয়ে যান। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ না পেয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও মোসাম্মৎ কবিতা খানমের কাছে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন।

এই আবেদনপত্রে লেখা ছিল, মিলন দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় তিন ডজন মামলায় হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে গত কিছুদিন আগে দেশে ফিরে এলেও নানা বাধার কারণে চাঁদপুরে গিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি মিলন। এই বিষয় মিলন চিঠিতে উল্লেখ করেন, চাঁদপুরের আদালতে হাজিরা দিতে গেলেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নতুন মামলায় জড়াবে এবং রিমান্ডে নিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালাবে। তাই বর্তমান সময় যেহেতু পুলিশসহ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীন। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনই কেবল তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে।

এদিকে সোমবার (১৯ নভেম্বর) চাঁদপুরের কোর্ট পুলিশ সূত্র বলেছে, মিলনের বিরুদ্ধে করা ২৬টি মামলাই বিচারাধীন। এ কারণে স্থানীয় আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত তাকে পুলিশ খুঁজে বেড়াবে। তবে কচুয়া থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা মিলনের খোঁজে এখনো কোনো অভিযান চালাইনি।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ডিবি পুলিশের প্রতিদিনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। অন্য কোনো কারণে নয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028421878814697