ফিফার টাকা নিয়ে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ করতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি একই বিষয়ে বাফুফে সভাপতিকেও মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে হাইকোর্টে হাজির হন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জীবনে প্রথমবার হাইকোর্টে এসেছি। এসব বিষয় নিয়ে আদালতে আসাটা আমার জন্যে দুঃখজনক।
আদালতে কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, মমতাজ উদ্দিন ফকির। অন্যদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
১৩ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের সব ‘মানহানিকর’ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন রিটটি দায়ের করেন।
রিটে সংবিধানের ৩১ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের অধীনে রিটকারী কাজী সালাউদ্দিনের সুনাম ও গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, একাত্তর টিভির বার্তা সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে বিবাদী করা হয়েছে।