সাড়া ফেলেছে ভ্রাম্যমাণ বঙ্গবন্ধু বইমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শ্রাবণ প্রকাশনী কর্তৃক আয়োজিত মাসব্যাপী বইমেলা অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে পাঠকদের মধ্যে।

৩১ জুলাই ঢাকার শাহবাগে ভ্রাম্যমাণ বইমেলার উদ্বোধন করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এরপর থেকে ভ্রাম্যমাণ বইমেলাটি দেশের বিভিন্ন শহর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস ঘোরার পর বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জ সফর করে। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ বই মেলা ঢাকার উপকণ্ঠে মানিকগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছে।

শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা দুটি বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং কারাগারের রোজনামচাসহ তাঁর উপর লেখা ১০০টি বই নিয়ে মাসব্যাপী এই ভ্রাম্যমাণ বই মেলা আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যে সাড়া দিয়েছে, সেটি অভাবনীয়। বই ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে নতুন দুটি বিশেষ পোস্টারও বাজারে এনেছে শ্রাবণ প্রকাশনী। দেশের ইতিহাসে টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভবত এই প্রথম কোনো ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজন হলো বলে জানান তিনি।   
রবিন আহসান বলেন, “একজন প্রকাশক নেতা আমাকে বলেছিলেন যে, আমি নাকি ৩০ দিনে ৩০ হাজার টাকার বইও বিক্রি করতে পারব না! কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন । মানুষ রীতিমত ভিড় করে বঙ্গবন্ধুর বই কিনছে। সাধারণ মানুষ যে বঙ্গবন্ধুকে কত ভালোবাসে সেটি এভাবে রাস্তায় নেমে নতুন করে আবার টের পাওয়া যাচ্ছে। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম, নানা বয়সের, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, বাচ্চা-কিশোর-কিশোরীরা বই কেনার জন্য ভ্রাম্যমাণ বইমেলায় আসছে”।

তিনি জানান, মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ট্রাকের উপর আয়োজিত এই বইমেলা ঢাকার শাহবাগ, ধানমণ্ডি ৩২ নং বাড়ি, রবীন্দ্র সরোবর, ছায়ানট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ বই মেলা অবস্থান করেছে। মাসের বাকি দিনগুলো ভ্রাম্যমাণ বইমেলা নিয়ে ঢাকার প্রতিবেশি প্রতিটি জেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান শ্রাবণের স্বত্বাধিকারী।

বঙ্গবন্ধুর উপর ভ্রাম্যমাণ বইমেলার পরিকল্পনা কেন করলেন?, এমন প্রশ্নের জবাবে রবিন আহসান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত বঙ্গবন্ধুকে উপলক্ষ করে কোনো না কোনো ইতিবাচক কাজ করা। বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতার সান্নিধ্যে যত বেশি মানুষ আসবে, তত মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রুত পূরণ হবে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দিতে পারলে, বড়দের কাজটিও অনেক সহজ হয়ে যায়। একটি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে পারে বাতিঘর।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002985954284668