জাতীয় সংসদে ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের করেন।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী সিলেট বিভাগে ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সিলেটে কোনো স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান না থাকায়, সিলেটের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের লক্ষ্যে ডিও পত্র পাঠান।
তিনি বলেন, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সিন্ডিকেট সভায় সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপিত হয় বিধায় নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন প্রয়োজন। তাই ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’–এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’–এর বিভিন্ন ধারায় উল্লিখিত ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি ‘সচিব’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে ‘সদস্য–সচিব’ বা ‘সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন’ প্রতিস্থাপন, ‘চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে যথাক্রমে ‘আচার্য, উপাচার্য ও উপ–উপাচার্য প্রতিস্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মনোনীত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক দ্বারা নিরীক্ষার কার্যক্রম সম্পাদনের সুযোগ রেখে প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
তাই ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ সংশোধনের লক্ষ্যে ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠান।