সেই কুয়েট ছাত্র অন্তু রায়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল সংগঠনগুলো। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কৌশলপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। নেতারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিয়ের বোঝা সইতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’ করেছে অন্তু রায়।

সোমবার দুপুরে প্রগতিশীল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এসব দাবি জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বটতলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম এবং সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র -যুব আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সোহবত শোভন, ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীপা মল্লিক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তু রায় ‘আত্মহত্যা’  করেন। তিনি ছিলেন ড.এম এ রশীদ হলের শিক্ষার্থী। হলে আবাসন সংকটের জন্য তাকে মেসে থাকতে হতো। বাইরে থাকার খরচ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায্য ফি মেটাতে তাকে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। আবাসিক হলে ভর্তি ফি এবং সিট বরাদ্দ বাবদ ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা বকেয়া ছিলো। এভাবে অন্যায্য এবং নামে -বেনামে আরোপিত ফিয়ের বোঝা সইতে না পেরে সে ‘আত্মহত্যা’ করে। এটা নিছক আত্মহত্যা হয়। অন্তু রায় রাষ্ট্রের অবহেলা এবং অন্যায় ব্যবস্থার বলি। এটা প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকাণ্ড।

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা মৌলিক এবং মানবিক অধিকার। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষাকে কেনা-বেচার পণ্যে পরিনত করা হচ্ছে। যার টাকা আছে সে পড়তে পারছে,যার টাকা নেই সে পড়তে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের গরীব -নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না। এর বিষময় প্রভাব পড়বে গোটা সমাজে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কখনোই শিক্ষার অধিকার থেকে তার নাগরিকদের বঞ্চিত করতে পারে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054569244384766