সেকায়েপ কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণ: মুচলেকা দিয়ে রক্ষা!

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে উপজেলার ৫টি স্কুল থেকে ৪০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন পরিদর্শক। শনিবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্টরা অভিযুক্ত সেকায়েপ প্রকল্পের কর্মকর্তা নাজমুল হককে উৎকোচের টাকাসহ আটক করে। খবর পেয়ে ইউএনও নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎকোচের টাকা ফেরত ও মুচলেকা দিয়ে ওই পরিদর্শককে ছেড়ে দেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ প্রকল্পের নাজমুল হক নামে কর্মকর্তা শনিবার দিনভর উপজেলা সদর পাইলট মডেল স্কুল, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, জালালপুর বালিকা বিদ্যালয় ও জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যান। তিনি নিজেকে মন্ত্রণালয়ের ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, আমার রিপোর্টের ওপর আপনাদের স্কুল সরকারীকরণ হবে। এ কথা বলে পাইলট মডেল স্কুল থেকে ১০ হাজার, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার, আদর্শ বিদ্যা নিকেতন থেকে ১০ হাজার, জালালপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৫ হাজার এবং জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন।

কিন্তু বাধ সাদে জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক। তার কাছে উৎকোচ চাইলে তিনি প্রথমে এক হাজার না মানলে পরে আরও এক হাজার এভাবে দর কষাকষি করে পরে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। পরে ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার পরিচয় জানতে চান এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন নাজমুল হককে উল্লেখিত স্কুলগুলোর সেকায়েপ প্রকল্পের তথ্য হালনাগাদকরণের কাজে প্রেরণ করা হয়। তিনি তার আসল পরিচয় গোপন করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিদ্যালয় প্রধানদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করেন। এর আগেও তিনি ভৈরবের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033960342407227