সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন জবির ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি |

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বার্ষিক ট্যুরে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তিনজন শিক্ষকসহ চতুর্থ বর্ষের ৪০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন।  

বুধবার (৫ অক্টোবর) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এখন পর্যন্ত আটকেপড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই নিরাপদে আছেন বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেও ওখানে যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখনো সকলে স্বাভাবিক অবস্থায়ই রয়েছেন। আর খাদ্য সংকট এখনো তেমন দেখা দেয়নি। ওখানে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সাগর একটু উত্তাল থাকায় ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়ে গেছেন তারা। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।

  

এর আগে আবদুল বারেক নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টের মধ্য দিয়ে বিষয়টি সামনে আসে।  

আবদুল বারেক লেখেন, ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেন্ট মার্টিন শিক্ষা সফরে এসে প্রচণ্ড লঘুচাপ এবং সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমরা দুদিনের বদলে তিন দিন অতিক্রম করছি। আগামীকাল ও নাকি জাহাজ চলাচল বন্ধ, এইখানে প্রচুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার  (১ অক্টোবর) সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ও নুসরাত সুলতানার তত্ত্বাবধানে ৩৮ শিক্ষার্থী নিয়ে ৪০ সদস্যের একটি দল সেন্ট মার্টিনে যায়।  

কিন্তু, সেখানে বৈরী আবহাওয়ার জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় আটকে পড়েন তারা। পর্যাপ্ত দিনের আলো না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিকেল পৌনে পাঁচটায় একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতে না পারার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আলী।

তিনি জানান, এখানকার আবহাওয়া এখন ভালো। কিন্তু শিপ এজেন্সিগুলো জাহাজ বন্ধ রাখায় আমাদের দেরি হচ্ছে। চালু হলেই আমরা ফিরতে পারব।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গেল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028460025787354