দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: প্রখ্যাত সাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবেরের ছোটগল্পের ওপর গবেষণা করে ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রভাষক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
সম্প্রতি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসোইনের তত্ত্বাবধানে ‘মঈনুল আহসান সাবেরের ছোটগল্প: বিষয় ও শিল্পরূপ’ শিরোনামে গবেষণাকর্মটি সম্পন্ন করেন। গত ২৩ মে, বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট অধিবেশনে এ ডিগ্রি প্রদান করা হয় তাকে।
মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার কোনামালঞ্চ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস এবং মাতা উম্মে হাবীবা মোসাম্মৎ গুলে লায়লা। তিনি হাজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিক এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৯৬ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০০ খ্রিষ্টাব্দে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ‘মঈনুল আহসান সাবেরের ছোটগল্প: বিষয় ও শিল্পরূপ’ শিরোনামে মাস্টার্স অব ফিলোসফি (এমফিল) কোর্সে ভর্তি হন।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে এমফিল প্রথম পর্বের পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ায় এমফিল কোর্সটি পিএইচডি কোর্সে রূপান্তরিত হয়। ওই বছরই তিনি কর্মস্থল পরিবর্তন করে সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং নানা প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা শেষে গত বছর ডিসেম্বরে গবেষণাপত্রটি পিএইচডি ডিগ্রির জন্য জমা দেন। এরপর বোর্ড অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের সুপারিশ পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত হন। প্রথমে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা’ এবং পরে ‘স্টাফ রিপোর্টার’ হিসেবে কাজ করেন। তিনি ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দুই যুগের শিক্ষকতা জীবনে তিনি এনসিটিবি, শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড়ের জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রেখেছেন। তিনি সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির বাংলা বিষয়ের একজন মাস্টার ট্রেইনার এবং জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লেখক। এ ছাড়া মূলধারার বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা এবং টক শোতে অংশ নিয়ে থাকেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।