বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় দেশজুড়ে প্রায় সবকিছুর স্বাভাবিক যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই রয়েছে। তবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে চায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে 'ভর্তিযুদ্ধ'।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া সাপেক্ষে ভর্তি পরীক্ষাগুলো সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা।
দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং চলমান লকডাউন তুলে নেওয়া হলে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সিলেকশনের ফল প্রকাশ করা হবে।
তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনার ওপর। চলমান করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা বর্তমান অবস্থা বিরাজ করলে ভর্তি পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের শেষেও আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির সংশ্নিষ্টরা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় 'অটো পাস' করেছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন পাস করে। এসব শিক্ষার্থীর চার-পাঁচ লাখই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
গত রোববার বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা আসার পরপরই আগের দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি আর্মি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ১৪ আগস্ট পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২০ ও ২১ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েট জানিয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার কমপক্ষে ১০ দিন আগে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, খুব বেশিদিন আমাদের ভর্তি স্থগিত রাখার সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আশা করছি, আজকালের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, আমরা সেপ্টেম্বর মাসকে টার্গেট করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই জানিয়ে দেওয়া হবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন