স্কুলছাত্রকে টয়লেটে রেখেই বিদ্যালয়ে তালা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, মাদারীপুর |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, মাদারীপুর: বিদ্যালয়ে ছুটির ঘণ্টা শুনে তাড়াহুড়ো করে সবাই চলে যায় বাড়িতে। দফতরিও তালা ঝুলিয়ে দেয় সব জায়গায়। কিন্তু কেউ জানতো না টয়লেটের ভেতর আটকা পড়ে আছে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এই ঘটনা। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিক্ষার্থী রাফিন হোসেনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে।

রাফিন একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে। শুক্রবার (১৮ মে) রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে যায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের টয়লেটে যায় সে। শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে শ্রেণিকক্ষে থাকা সবাই বাড়িতে চলে যায়। পরে বিদ্যালয়ের দফতরি খোকন খান শ্রেণিকক্ষ ও টয়লেটের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান।

পরে চিৎকার শুরু করে রাফিন। কিন্তু সেই ডাক শুনতে পায়নি কেউ।
 
রাফিন দুপুরের পর বাড়িতে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শিশুটির কান্নাকাটি শুনে কাছে ছুটে যান। পরে টয়লেটের ভেতর শিশুটি আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙ্গে রাফিনকে উদ্ধার করেন তিনি। গুরুতর অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয় জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে।
 
পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।

 

মাদারীপুর জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা চলচ্চিত্রের মতো। বিষয়টি দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক। এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক, দফতরি কেউই এড়াতে পারেন না। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়মিত মামলা হওয়া উচিত।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম - dainik shiksha ডিআইএর নতুন পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান - dainik shiksha জাতীয়করণসহ তিন দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের অবস্থান এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা - dainik shiksha এমপিওর দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের পদযাত্রা কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি - dainik shiksha কারিগরিতে ৪০ শতাংশ নম্বরে উপবৃত্তি কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের - dainik shiksha কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক - dainik shiksha আটকের পর বিজিবিকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha নয় বছরের শিক্ষিকাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হতে বললেন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025169849395752