লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রকে নির্যাতন করে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইভটিজিংয়ের অপবাদ দিয়ে ১ জুন বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ডেকে আহত ইয়াসিন আরাফাত সজল নামের ওই ছাত্রকে মারধর করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুক দোলন ও সহকারী শিক্ষক মো. রেজাউল করিম।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলনগর থানায় ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আসহান উল্যাহ। ঘটনাটির সংবাদ একটি দৈনিকে ‘ছাত্রকে নির্যাতনের পর টিসিও দিলেন প্রধান শিক্ষক!’ শিরোনামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। ফলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ জুন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা। আগামী ১২ জুনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই ছাত্রের অভিভবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের ভাতিজার জন্য নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের বোনের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত সজলকে মারধর (নির্যাতন) করে জোরপূর্বক বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়া হয়। যা নিয়ম বহির্ভূত। এ ঘটনায় ওই ছাত্র মানষিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ভয়ে সে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে তার ভবিষ্যত নিয়ে দুঃচিন্তায় অভিভাবকরা।
তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন জানিয়েছেন, ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেছে। এ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে কোন উত্তর না দেওয়ায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে থাপ্পর মেরেছে। পরে ভয় দেখানোর জন্য তাকে টিসি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।