নওগাঁর ধামইরহাটে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে একটি কিশোরীর বাল্য বিয়ের আয়োজন। সে চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে আসায় বরকে আট মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে বরের চাচীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত চন্ডিপুর এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায়।
জানা গেছে, স্কুলছাত্রী জীবন আক্তার রুহিকে (১৩) তার বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক একই ইউনিয়নের চকমইশ গ্রামের রাজ্জাক হোসেনের ছেলে মো. রশিদুল ইসলামের (২৬) সাথে বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে প্রশাসন ওই কিশোরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন। বিয়ের আসন থেকে বর ও বরের চাচীকে আটক করেন থানা পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বর রশিদুল ইসলামকে ৮ মাস ও তার চাচী টপি আরাকে (২২) ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ও বোন লাভলী আক্তারকে (২৭) ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। লাভলী আক্তার ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পেয়েছেন।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ধারায় বর ও বরের চাচীকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।