ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃত্তিকা চক্রবর্তী (৯) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন মা। এ ঘটনায় মা কেয়া চক্রবর্তীকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভালুকা পৌরসভার মেজর ভিটা এলাকার একটি বাসায় দরজা ভেঙে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
নিহত ৯ বছর বয়সী কৃত্তিকা চক্রবর্তী গাজীপুর শাহীন স্কুলের চতুর্থ শ্রণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা খাগড়াছড়ির রামগর উপজেলার প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। তিনি ভালুকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। শিশুটির মা কেয়া চক্রবর্তী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন আটক কেয়া চক্রবর্তী। ঘটনার দিন সকালে স্বামী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী কাজে বেরিয়ে যান। এ সময় কেয়া চক্রবর্তীর ভাই অলোক চক্রবর্তী বাসায় ছিলেন। দুপুরের পর অলোক চক্রবর্তীও বাসা থেকে বেরিয়ে যান। কাজ শেষে ফেরার পর রুমের দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকি করলেও কেয়া চক্রবর্তী কোনো সাড়া দেননি। পরে অলোক চক্রবর্তী স্থানীয় মানুষ ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে কৃত্তিকা চক্রবর্তীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় মা কেয়া চক্রবর্তী ঘরে মেয়ের পাশেই বসেছিলেন। এমতাবস্থায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও কেয়া চক্রবর্তীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি সামছুল হুদা খান জানান, শুক্রবার বিকেলে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর দরজা বন্ধ করে মরদেহের পাশেই বসে ছিলেন কেয়া চক্রবর্তী। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে শিশুটির বাবা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী পুলিশে খবর দেন। রাতে দরজা ভেঙে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেয়া চক্রবর্তীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কেয়া চক্রবর্তী। তবে, কী কারণে তিনি নিজের সন্তানকে হত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি। কেয়া চক্রবর্তীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেখা গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।