গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য হত্যা মামলার রায় হয়েছে। রায়ে ৩ আসামিকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ৮ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ৪ বছর চারমাস পর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অভিযুক্ত ১১ আসামির ৬ জন কারাগারে ও ৫ জন জামিনে আছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম শফিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান,আদালতে যে সাক্ষী-প্রমাণ ও আসামিদের জবানবন্দি উপস্থাপন করা কারাগারে থাকা আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেক আসামির ফাঁসির দাবি জানিয়েছে সাম্যর স্বজনেরা। তবে জামিনে থাকা প্রধান আসামি জয়নালসহ পাঁচ আসামি বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। দ্রুত তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান এলাকাবাসী ও স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহরণ করা হয় গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের একমাত্র ছেলে আশিকুর রহমান সাম্যকে। পরদিন বর্ধনকুঠি বটতলার কমিউনিটি সেন্টারের সেপটিক ট্যাংক থেকে সাম্যর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় ৯নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনকে প্রধান আসামি এবং সাম্যের সহপাঠীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন সাম্যর বাবা। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাম্যর সহপাঠী হৃদয়, জাকির ও হৃদয়ের মামাতো ভাই সজিবসহ আট আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে সাম্যকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় সাম্যর দুই সহপাঠী। গত ৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।