স্কুলের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক-সভাপতি

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি |

রংপুরের মিঠাপুকুরে বিদ্যালয়ের মাঠের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এক লাখেরও বেশি টাকা মূল্যের পাঁচটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিয়েছে এলাকাবাসী। তবে মাঠের অর্ধেক অংশ নিজেদের বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তরা। 

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের জুমা জলছত্তর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে ৩৩ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলা হয়। সরকার সারা দেশের রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের করণের উদ্যোগ নিলে এটিও জাতীয়করণ হয়।

বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে কিছু মেহগনি গাছ ছিল। গত মঙ্গলবার পাঁচটি গাছ শ্রমিক দিয়ে কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। এতে বাধা দেয় স্থানীয়রা। তখন গাছের জায়গাটি বিদ্যালয়ের নয় বলে দাবি করেন অভিযুক্তরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ওহাব আলীসহ অনেকে বলেন, কমিটির লোকজন, সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক সবাই প্রধান শিক্ষকের পরিবারের লোক। বিদ্যালয়টি পরিবারকেন্দ্রীক করে অনিয়ম করা হচ্ছে। এতদিন যে মাঠ বিদ্যালয়ের বলে জেনেছেন, এখন শুনছেন সে জায়গা তাঁদের ব্যক্তিগত। তাহলে এখানে সরকারিভাবে ভবন কীভাবে হলো, এমন প্রশ্ন করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে জুমা জলছত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান মিয়া বলেন, ‘গাছগুলো আমাদের জমিতে। বিদ্যালয়ের গাছ কাটা হয়নি। জমিদাতা আমার বাবা। তিনি জমি দান করার সময় দিক উল্লেখ করে জমি দেননি। এখন জায়গা নির্ধারণ করে দিচ্ছি।’ বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম বলেন, গাছগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত জমিতে পড়েছে। তাই কেটে নেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে গাছ মাঠ থেকে সরাতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে বিদ্যালয়ের জায়গা নির্ধারণ করা হবে। এরপর গাছের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইউএনও রকিবুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক জায়গাটা নিজেদের বলে জানিয়েছেন। তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সবকিছু যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের - dainik shiksha হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস - dainik shiksha নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর - dainik shiksha অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036699771881104