স্কুলের গাছ বিক্রি করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

দৈনিক শিক্ষাডটকম, পিরোজপুর |

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ধলহার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না সমদ্দারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পঞ্চাশ হাজার টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি গত এক মাসের ব্যবধানে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দুটি মেহগনি নিয়ে, তিনটি বেলশিশু গাছ বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য অর্ধলাখ টাকারও বেশি বলে দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, তিনি স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছেন। বিদ্যালয়ে মনগড়া অনির্বাচিত পরিচালা পর্ষদ কমিটি করা সহ দু-চারজন অনুগত শিক্ষকদের দ্ধারা তিনি এসব কর্মকাণ্ড করেছেন। তাই অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের মাছ থেকে গাছ কেটেছেন তিনি।

স্থানীয় সুজন মিস্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না সমদ্দার গত পাচ মাসে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে বিদ্যালয় থেকে পাচটি মূল্যবান গাছ বিক্রি করেছেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি। এ স্কুলে লেখাপড়ার কোনো জবাবদিহি নেই। খেয়াল খুশিমতো বিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ড যখন খুশি তখন চলে যায় শিক্ষার্থীরা। তিনি বলেন, কোনো প্রকার দরপত্র আহ্বান ছাড়া গোপনে বিদ্যালয় থেকে গাছ বিক্রির বিষয় তিনি ইউএনও বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় রতন মিস্ত্রি অভিযোগ করে এলাকার গুটিকয়েক এলিট পারসন আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না মিলে স্কুলটাকে ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে। গোপনে স্কুলের গাছ বিক্রিসহ স্কুলে নিয়মিত আসছেন না তিনি।

অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না সমদ্দার বলেন, বিদ্যালয়ে যা কিছু হয়েছে সভাপতির অনুমতিসাপেক্ষে হয়েছে। মাস তিনেক আগে বিদ্যালয়ের কাজের জন্য একটি মেহগনি গাছ কেটে ছিলাম। পরে তিন হাজার টাকায় তা বিক্রি করে দিয়েছি। গত দুই তিন দিন পূর্বে পুনরায় কেন গাছ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ওপর গাছটি পড়ে ছিল তাই সে গাছটি পনেরশ টাকায় বিক্রি করেছি। এ ছাড়া কোনো গাছ কাটা হয়নি।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ কমিটির সভাপতি মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা ভালো বলতে পারবেন।

নেছারাবাদ ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তাছাড়া, ধলহার স্কুলে সাবেক প্রধান শিক্ষককের আমল থেকেই কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যাহোক এ বিষয়ে অভিযোগ আসলেই তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু - dainik shiksha পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত - dainik shiksha অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে - dainik shiksha গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028021335601807