ঝালকাঠি সদর উপজেলার রূপসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসুর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বেঞ্চসহ মালামাল আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় থেকে বেঞ্চ ও প্রজেক্টর নামিয়ে ভ্যানে ওঠালে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে স্কুলে ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি। রোবাবর দুপুরে গাবখান ব্রিজের পশ্চিম ঢালের নিচে রূপসিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আত্মসাৎ চেষ্টায় সহায়তা করেছেন মর্মেও অভিযোগ আছে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়েই এসব ভারী মালামাল ওঠানো-নামানোর কাজও করিয়েছেন তিনি। বিষয়টি শুনেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ক্ষুব্ধ হন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য বাদল হোসেন ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রূপসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসু পিআরএল গেছেন আরো দুইমাস আগে। তবুও তিনি বিদ্যালয়ে প্রায়ই আসেন। সুযোগ বুঝে এটা-সেটা নিতেই থাকেন।
বাদল হোসেন আরো বলেন, এদিন বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বসার এবং বই রাখার জন্য সরকারি ৬ সেট বেঞ্চ বের করে ভ্যানে তোলেন। শিশুশিক্ষার্থীদের দিয়েই ঝুঁকিপুর্ণভাবে বেঞ্চগুলো সরানোর কাজ করান তিনি।
বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত শিক্ষক মনিরা বেগম ও বাণি বিশ্বাস শ্রেণিকক্ষের পাঠদান বন্ধ রেখে সহায়তা করছিলেন। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে এসে বেঞ্চ সরানো আটকে দেই, যোগ করেন তিনি।
বর্তমান আহবায়ক কমিটিকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসও এসবের কিছু জানে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর তিনি বাসায় নিয়ে গেছেন।
সহকারী শিক্ষক বাণি বিশ্বাস সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসুর পক্ষ নিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে বলেও প্রতিবাদ জানান।
প্রধান শিক্ষক রতন লাল বসু জানান, আমার মেয়ের বিয়ের জন্য কয়েকটি বেঞ্চ নিচ্ছিলাম। অনুষ্ঠান শেষ করে আবার ফেরত দিতাম। ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচরণ করে তিনি বলেন, আমিও ঝালকাঠির ছেলে। আমার নামে চুরির মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে, আমিও ছাড়বো না।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ক্লাস্টারের দায়িত্বে) হিমাদ্রি শেখর বলেন, ওই এলাকার লোকজনের কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে জেনে তখনই রতন বসুকে নিষেধ করেছি। যদি তার আত্মসাতের অসৎ কোনো উদ্দেশ্য থাকে তা খতিয়ে দেখে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।