নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কারও দেখা না পেয়ে এ নোটিশ দেন। একই অভিযোগে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী বুধবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয় খোলেন। ৯টা ২০ মিনিটে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার পরিদর্শনে যান। তখন তিনি কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে দেখতে পাননি। সেখান থেকে চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানেও একই অবস্থা দেখতে পান।
ওইদিন বিকেলে তিনি চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম, সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন, আরতি রানী, রোকসানা আক্তার, জুলফি আরা বেগম, সাবিনা ইয়াছমিন এবং চিকনমাটি দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালিমা বেগম ও কল্পনা বেগমকে শোকজ নোটিশ পাঠান। সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় কেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এ বিষয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে তাঁদের কাছে।
এ বিষয়ে চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, স্যার ৯টা ১৮ মিনিটে বিদ্যালয়ে এসে দুই মিনিট থেকে চলে যান। আমি ৯টা ২৬ মিনিটে আসি। অন্য শিক্ষকরা দু-তিন মিনিটের মধ্যে চলে আসেন।
মো. শাহ আলম আরও বলেন, আমরা শোকজ নোটিশ পেয়েছি। তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দেব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, সকাল ৯টায় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা। আমি সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পরিদর্শনে গিয়ে নৈশপ্রহরী ছাড়া কাউকে পাইনি।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাঝেমধ্যে সকালে বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়া উচিত। তাঁদের কাজটা আমাকে করতে হচ্ছে।