ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আখাউড়ায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল জায়গা জুরে ইট ভেঙে সুরকি করা হচ্ছে। ফলে ইট ভাঙা মেশিনের ‘গরগর’ শব্দ ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ধুলাবালিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন কাজে
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শব্দ ও ধুলাবালির কারণে ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে। মেয়েদের বমি বমি ভাব হয়। তাদের মাথা ব্যথা ঘুরায়। ক্লাস রুমে বসে থাকাই দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এভাবে আর কতোদিন ইট ভাঙবে তাও বুঝতে পারছি না। তিনি ইট ভাঙা বন্ধ করতে সরকার বা শিক্ষা প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সরজমিনে রেলওয়ে স্কুলে গিয়ে যায়, পৌরশহরের রেলওয়ে কুমার পাড়া এলাকায় বিদ্যালয় মাঠের সামনে খোলা জায়গায় মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার কাজ চলছে। শ্রমিকরা ইট ভেঙে সুরকি করে স্তুপ আকারে রাখছে। ধুলাবালি উড়ছে বাতাসে। পাশের রাস্তা দিয়ে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা নাক-মুখ ঢেকে যাতায়াত করছেন।
কয়েকদিন ধরে হাঁচি-কাশিতে ভুগছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী কাজী স্নেহা। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ধুলাবালি আর ইট ভাঙার বিরক্তিকর শব্দে ক্লাস করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ধুলাবালিতে বেশিক্ষণ থাকলে শিশুদের ফুসফুস জনিত প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট ও এলার্জিজনিত রোগ হতে পারে।
জানতে চাইলে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেল লাইন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মো. আব্দুল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অসুবিধার হওয়ার বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। সরজমিনে বিষয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।