মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের নিয়ে সভা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে ছাদের কিছু পলেস্তারা খসে এক অভিভাবকের মাথার ওপর পড়ে যায়। এতে তিনি সামান্য আহত হন। এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে হাজী খুরশীদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে সাধারণ সভা শুরু হয়। এতে ৩০-৪০ জন পুরুষ ও নারী অভিভাবক অংশ নেন। সভা চলাকালে পাকা বিদ্যালয় ভবনের ছাদের কিছু স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ে। এর মধ্যে হুমায়ূন রশীদ নামের এক অভিভাবকের মাথায় কিছু পলেস্তারা পড়ে যায়। পরে শিক্ষকেরা দ্রুত তাঁর মাথায় পানি ঢালার ব্যবস্থা করেন।
হুমায়ূন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতিও। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘সভা চলছিল। হঠাৎ মাথায় কিছু পড়ল বুঝলাম। পরে দেখলাম, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। মাথায় সামান্য ব্যথা লেগেছে। আর কারো কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আরও ক্ষতি হতে পারত।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজী খুরশীদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি পাকা ভবন। এর মধ্যে একটি নতুন ও অপরটি ১৯৯৪-৯৫ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত। পুরোনো চার কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি কয়েক বছর আগে থেকেই জরাজীর্ণ। নানা স্থানে ফাটল ধরেছে। বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১। শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন।
পুরোনো ভবনের একটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রানী দাসের কার্যালয়। এ ছাড়া পুরোনো ভবনের একটি কক্ষ শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয় তাঁদের। প্রধান শিক্ষক বলেন, পুরোনো ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থার কথা একাধিকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ ভুঞা বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। ওই তালিকায় হাজী খুরশীদ আলী বিদ্যালয়ও থাকবে। অধিদপ্তর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।