স্কুলে এইচএসসি পরীক্ষার অবৈধ কেন্দ্র, চলে নকলের মহোৎসব

নেত্রকোণা প্রতিনিধি |

নেত্রকোণার দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অবৈধভাবে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে ওই বিদ্যালয়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ও দুর্গাপুর সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দিলেও দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুসং সরকারি কলেজে ১০-১২টি কক্ষ খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলে অতিরিক্ত কেন্দ্রের প্রয়োজন হতো না।
 

জানা গেছে, নকল করার সুবিধার জন্য অসুস্থ্যতার ভান ধরে সিক বেডে পরীক্ষা দিচ্ছে ১২-১৪ জন শিক্ষার্থী। পুরো পরীক্ষা জুড়ে চলে নকলের মহোৎসব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে অবৈধভাবে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়ার জন্য। নকল করে পরীক্ষা দেয়ায় গত ২০ আগস্ট চারজন ও ২৭ আগস্ট দুইজনসহ মোট ৬ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আসছারী।

তবে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র করার বিষয়ে রেজ্যুলেশন আছে তাই এটা অবৈধ নয় বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিণয় ভূষণ সাহা রায়। এদিকে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন রাজিব উল আহসান, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র করার কোনো রেজ্যুলেশন করা হয়নি। এটি একটি ‘ইনোসেন্ট মিসটেক’। 

জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় সুসং সরকারি কলেজ, দুর্গাপুর মহিলা কলেজ, ডন বস্কো কলেজ ও মাফিজ উদ্দিন মহাবিদ্যালয় এ চারটি কলেজ রয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। পরীক্ষার অনুমোদিত কেন্দ্র দুটি হলো, সুসং সরকারি কলেজ ও দুর্গাপুর মহিলা কলেজ। সুসং সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে দুর্গাপুর মহিলা কলেজ ও ডন বস্কো কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে সুসং সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আইনুল হক বলেন, আমাদের কলেজে অসংখ্য কক্ষ খালি পড়ে আছে। সেগুলোকে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করলে বালিকা বিদ্যালয়ে কেন্দ্র করার প্রয়োজন হতো। 

এইচএসসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব উল আহসান গত শনিবার বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য কোনো রেজ্যুলেশন করা হয়নি। এটি একটি ভুল ‘ইনোসেন্ট ভুল’। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কোনো রেজ্যুলেশন আমার কাছে পৌঁছেনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো - dainik shiksha অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ - dainik shiksha সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের - dainik shiksha সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম - dainik shiksha মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের - dainik shiksha গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস - dainik shiksha শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024218559265137