গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন বিদ্যালয়টিতে (ভোট কেন্দ্র) আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নিচের ও উপরের পাঁচটি শ্রেনিকক্ষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘটনার আটমাস পার হলেও এখনো বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ করা হয়নি।
পোড়া গন্ধ,আগুনে পোড়া ছাই ও সর্বত্রই কালো ছাপ এমনকি শ্রেণিকক্ষে আগুনে পোড়া বেঞ্চের কাঠামো জড়ো করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতায় পাঠদানে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সিংরুইল ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় বিদ্যালয়টির অবস্থান। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন (গত ৬ জানুয়ারি) ভোরে বিদ্যালয়টিতে আগুন জ্বলছে দেখেন এলাকার লোকজন। পরে দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নেভানো গেলেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিদ্যালয়টি। পুড়ে যায় পাঁচটি শ্রেনি কক্ষের সকল বেঞ্চ ও অন্যান্য আসবাবপত্র। সেই সাথে কক্ষের পলেস্তার খসে খসে পড়ছে। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়টি সচল থাকলেও গত প্রায় আট মাসে শ্রেণিকক্ষ মেরামতের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই শ্রেণিকক্ষ পরিস্কার করছে। এতে নিজেদের পরিহিত পোশাকে পোড়া কালির দাগ লাগছে। বিদ্যালয়টি আসার পর প্রায় প্রতিদিনই এভাবেই নিজেদের শ্রেণিকক্ষ নিজেরাই পরিষ্কার করার পরে কোনোভাবে পাঠদানের উপযোগী করা হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম নুরুন্নাহার বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের দিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পাঠদান দিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া গত ১৪ আগস্ট ঘটেছে বৈদ্যুতিক পাখা চুরির ঘটনা। এর মধ্যে আমাদেরকে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছা বলেন, মেরামতের জন্য প্রাক্কলন দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।