দৈনিকশিক্ষাডটকম, দৌলতপুর : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ঐতিহ্যবাহী ফিলিপ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেয় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের হামলায় ওই স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্য সোহেল রানা ও পার্শ্ববর্তী শিশু নিকেতনের আক্তারুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌলতপুর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ২২৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন ফরম জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি (সোমবার) লটারির মাধ্যমে ১১০ জনকে ভর্তি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকে তালা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। এমন সময় কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফিলিপ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে দুটি শাখায় ২২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেন। এর মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে এলাকার গণ্য গণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে লটারির মাধ্যমে আমরা ১১০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়েছি। বাকি ১২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে আসে স্কুলে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সদস্যসহ পার্শ্ববর্তী শিশু নিকেতনের একজন শিক্ষক আহত হয়।
জানতে চাইলে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি শাখায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ আছে। সেই আলোকেই প্রতিটি শাখায় ৫৫ জন করে ১১০ জনকে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলে হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।