স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শরীয়তপুরের জাজিরা হাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়েছেন মাহফুজুর রহমান সুমন নামে এক সহকারী শিক্ষক। বুধবার সকাল থেকে তাকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির লোকজন।

জানা যায়, নজুম উদ্দিন বেপারী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক) পদে চাকরি করতেন মাহফুজুর রহমান সুমন। গত ২৮ মার্চ সুমনকে জাজিরা হাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানের জন্য পত্র পাঠানো। পত্রটি পেয়ে ১৭ এপ্রিল সুমন বিদ্যালয়ে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন যোগদানপত্রটি গ্রহণ করেননি। পরে সারাদিন বসে থেকেও শিক্ষককে না পেয়ে সুমন চলে যান।

এরপর ওই বিদ্যালয়ে তিনবার গেলেও যোগদান পত্রটি গ্রহণ করেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পরে বুধবার সকালে সুমন যোগদান করতে গেলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির লোকজন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামসুল হক বেপারী বলেন, সুমনের কাছ থেকে আমি নাকি ২০ হাজার টাকা চেয়েছি। সে আমার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছে। যোগদানের আগেই সে অভিযোগ করেছে তাহলে যোগদানের পর সে কখনই আমার কথা মানবে না। তাই যোগদান করতে দিচ্ছি না। এমপি এলে এ বিষয়ে কথা হবে।

জাজিরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সুমনকে নিয়ম অনুযায়ী আদেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সুমন যোগদানে সমস্যার ব্যাপারে আমার কাছে একটি অভিযোগ করেছে।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেলা রহমত উল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। সুমনকে আজ (বুধবার) বিদ্যালয়ে যোগদান করতে বলেছিলাম। কিন্তু শুনলাম সুমনকে বিদ্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি দেখছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043990612030029