স্কুল কলেজ অনুমোদনে নৈরাজ্য

রাকিব উদ্দিন |

সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিও দিতে পারছে না। নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিও করতে পারছে না। শিক্ষক এমপিও এবং প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন গ্রূপে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন করছেন সারাদেশের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। তবে সরকার বিছিন্নভাবে তিন শতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিবেচনা ও অনৈতিক পন্থায় প্রতি বছর প্রায় চার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। আবার শিক্ষার্থী না পাওয়া ও পাবলিক পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী পাস না করায় প্রতি বছর শতাধিক স্কুল-কলেজ বন্ধও করা হচ্ছে। অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে আরও বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদনে নৈরাজ্য চলছে বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন।

প্রবীণ শিক্ষক নেতা ও ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ  বলেছেন, ‘শিক্ষানীতিকে আমলে না নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়া হচ্ছে; বন্ধ করা হচ্ছে। কোন এলাকায় কত মানুষ আছে, স্কুল-কলেজের আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে একটি ম্যাপিং (জরিপ) দরকার, সেটিও করা হচ্ছে না রাজনীতিবিদদের চাহিদা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিচ্ছেন।’

নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের জন্য একটি ‘অ্যাকশান প্লান’ থাকা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একদিকে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে; আরেকদিকে শিক্ষকরা এমপিও’র পেছনে দৌড়াচ্ছেন। আর সরকারি কর্মকর্তারা এই সমস্যা সামলাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ার অবসান হওয়া প্রয়োজন।’

শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা না করেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই বলা যায়, অপ্রয়োজনীয়। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম; পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলও ভালো নয়। অথচ এমপিওভুক্ত এসব প্রতিষ্ঠানের পেছনে প্রতি মাসে সরকারের প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

২০১০ সালে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয় যেগুলো ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়। রাজধানীতে এই ধরনের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার একটি নিয়মিত বাড়ি ভাড়াই পরিশোধ করতে পারছে না। নামমাত্র ঠিকে রয়েছে। আবার প্রয়োজনীয়তা বা চাহিদা রয়েছে এমন প্রায় সাড়ে তিন হাজার এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা  জানিয়েছেন।

এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষক সংগঠনগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক প্রায় এক লাখ ২০ হাজার। কিন্তু আর্থিক সুবিধা না পাওয়ায় গত সাত বছরে প্রায় দুই হাজার স্কুল ও কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নতুন করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে আরও প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত দু’বছরে ৩৮৭টি কলেজ স্থাপন বা স্কুলে কলেজ শাখা খোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। পাশাপাশি প্রতি বছর দুই শতাধিক হাইস্কুলও অনুমোদন পাচ্ছে।

কিন্তু শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা জানান, গত বছরও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১০ লাখ আসন খালি ছিল। এসব কলেজ অপ্রয়োজনে খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ৯ হাজার ১৫৮টি কলেজ-মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৯টি। আর গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। এর মধ্যে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৩ লাখ দশ হাজার ৯৪৭ জন। এ হিসেবে ১৫ লাখ আসনই ফাঁকা রয়েছে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নির্বিচারে কলেজ-মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দেয়ায় দেশের প্রায় অর্ধেক কলেজ-মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সংকটে রয়েছে।

নন-এমপিও শিক্ষক ফোরামের সভাপতি এশারাত আলী বলেন, এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করা দরকার তার সবই পূরণ হয়েছে পাঁচ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের। এগুলোর মধ্যে এক যুগেরও বেশি সময় পার করা অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৭৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্কুলগুলোতে পড়াশোনা করছে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ ২০১০ সালে সরকার এক হাজার ৬২৪টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। ওই সময় এমপিওভুক্তির যোগ্য ছিল কিন্তু এমপিও দেয়া সম্ভব হয়নি এমন পাঁচ হাজার ২৪২টি স্কুল চিহ্নিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব স্কুলে শিক্ষক আছেন ৭৫ হাজার। ২০১৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের সময় শর্তজুড়ে দেয়া হচ্ছে যে, এমপিও সুবিধা দাবি করা যাবে না।

হুমকির মুখে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠান

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার বলে বিভিন্ন বোর্ডে অনুমোদন পাওয়া ৫৯টি কলেজ ২০১৫ সালে কোন শিক্ষার্থী পায়নি। এর মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১টি কলেজ কোন শিক্ষার্থী পায়নি। এছাড়া দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ১৬টি, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ১৩টি, কুমিল্লা বোর্ডে পাঁচটি, যশোরে ৯টি এবং সিলেট বোর্ডের পাঁচটি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এসব কলেজ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে গুটিয়ে দিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী ওইসব কলেজে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই; নেই বিষয়ভিত্তিক ন্যূনতম শিক্ষক, নেই পাঠদানের পরিবেশ। বোর্ডের নথিতে এসব কলেজের অস্তিত্ব থাকলেও প্রকৃতপক্ষে কোচিং সেন্টার ও ভাড়াবাড়িতে গড়ে ওঠা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গেই এসব কলেজের নাম টানিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে এগুলোতে বিগত কয়েক বছর শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এমপিওভুক্ত হতে না পারায় শিক্ষকরা কলেজে গেলেও পাঠদান করান না। আবার কোন কলেজে মানবিক শাখায় পাঁচজন শিক্ষার্থী থাকলেও বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখায় একজনও শিক্ষার্থী নেই। এমপিও সুবিধা পেলে হলে একটি বিষয়ের জন্য কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হয়।

গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮টি শিক্ষা বোর্ডের ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসা বোর্ডের ৮২টি, যার মধ্যে ৩টি এমপিওভুক্ত। বাকি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ২টি, রাজশাহীর একটি, কুমিল্লার ২টি, যশোরের ২টি, চট্টগ্রামের একটি, বরিশালের ২টি এবং দিনাজপুরের একটি।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম ছায়েফ উল্লাহ

বলেন, ‘শূন্য পাস করা ৮২টি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি বাতিল করে দেয়া হবে। প্রতি বছরই এটি করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘৮২টি মাদ্রাসার কোনটি থেকে একজন, কোনটি থেকে দুজন বা তিনজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। আমাদের এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের দরকার নেই।’

এর আগে ২০১৬ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় গত ২০১৬ সালে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের শতাধিক কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বোর্ডের ৭৯টি কলেজের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়। এসব কলেজ ও মাদ্রাসায় ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দু’বছর শূন্য পাস এবং কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। ২০১৭ সালে অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায়ও ৫৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৮৫টি কলেজ ও মাদ্রাসায় কোন ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি। এছাড়াও ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ৮৭৮টি কলেজ ও সমমানের মাদ্রাসা অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, যেগুলোর মধ্যে অর্ধশত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯৭টিতে সর্বনিম্ন পাঁচজন থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। আর ১৮১টি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাঁচজন থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন পাস করেছে। শূন্য আসনের বিপরীতে নূূ্যূনতম শিক্ষার্থী না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। আর্থিক সংকুলান না হওয়ায় নামমাত্র দু’তিনজন শিক্ষক দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিকে রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট টিউশনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

উপেক্ষিত এমপিওভুক্তির নিয়ম

প্রস্তাবিত স্থাপনা থাকা সাপেক্ষে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে প্রথমে পাঠদানের অনুমতি নিতে হয়। পরে কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করে একাডেমিক স্বীকৃতি দেয় শিক্ষা বোর্ড। এরপর শিক্ষার কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা, পরীক্ষার ফল, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যোগ্যতা মূল্যায়নের পরই এমপিওভুক্তি করা হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এমপিওভুক্তির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘এমপিও নীতিমালা’ অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য মানদ- ঠিক রাখতে ১০০ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়। এতে একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য ২৫, শিক্ষার্থীর জন্য ২৫, পরীক্ষার্থীর সংখ্যার জন্য ২৫ এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হারের জন্য ২৫ নম্বর রাখা হয়। এতে স্বীকৃতির সময়সীমা ২ বছর হলে ৫ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে স্বীকৃতির সময়সীমা ১০ বছর বা তারও বেশি সময় হলে ২৫ নম্বর পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীর কাম্যসংখ্যার জন্য ১৫ নম্বর দেয়া হয়। কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাম্যসংখ্যার পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৫ নম্বর প্রদান করা হয়। একইভাবে পরীক্ষার্থীর এবং ফলাফলের ক্ষেত্রে নম্বর প্রদান করা হয়। এই নীতিমালা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: দৈনিক সংবাদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! যৌন হয়রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি - dainik shiksha যৌন হয়রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল অভিযুক্ত শিক্ষা সাংবাদিকদের পক্ষে জোর তদবির - dainik shiksha অভিযুক্ত শিক্ষা সাংবাদিকদের পক্ষে জোর তদবির কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে যৌ*ন হয়*রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি - dainik shiksha যৌ*ন হয়*রানি: ঢাবি শিক্ষক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030348300933838