টাইমস্কেলের বদলে বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে এমপিও কমিটির সভায় টাইমস্কেলের বদলে বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানানো হয়েছে। স্কুল-কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালায় বলা হয়, ১০ বছর পূর্তিতে একটি এবং চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে আরও একটি, মোট দুইটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন শিক্ষকরা।
যদিও শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। আগের এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছিল, শিক্ষকরা চাকরির ৮ বছর পূর্তিতে টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেড পাবেন। সে প্রেক্ষিতে অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যে একটি টাইমস্কেল পেয়েছেন। এখন এসব শিক্ষক নতুন নীতিমালার আলোকে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড বা টাইম স্কেল প্রাপ্য হবেন কিনা। হলেও কত বছরে পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। চাকরির ৮ বছর পূর্তিতে টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেড পেয়েছেন তারা উচ্চগ্রেড প্রাপ্য হবেন কিনা বা কত বছর পরে পরবর্তী উচ্চগ্রেড প্রাপ্য হবেন সে বিষয়েও ৩০ ডিসেম্বর পাঠানো চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা চেয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে টাইমস্কেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়মে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক লাখ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ‘টাইমস্কেলের’ পরিবর্তে ‘উচ্চতর গ্রেড’ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত মার্চে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার ঘোষণা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সে প্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর এমপিও কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।