রাজবাড়ী গোয়ালন্দ জামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গত দেড় বছর ধরে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখেছেন ঠিকাদাররা। ফলে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারদের বার বার তাগিদ দিলেও তারা কর্ণপাত করছেন না। করোনার দীর্ঘসময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর চলতি বছর দ্রুত সময়ের মধ্যেই দেশের বিদ্যালয়সমূহ পুনরায় খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলাসহ নিয়মিত অধিবেশন ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় তরুণ ওয়াসিম, সাদ্দাম, রুবেল, রায়হান, সাহাদাৎ হোসেনসহ অনেকেই বলেন, এ এলাকায় স্কুলের এই মাঠটিই একমাত্র খেলার মাঠ। সারা বছরই এ মাঠে ক্রিকেট-ফুটবলসহ নানা খেলাধুলা চলে। প্রতি শীত ও গ্রীষ্মে এখানে একাধিক জমজমাট টুর্নামেন্ট চলে। কিন্তু মাঠটি প্রায় দেড় বছর ধরে ঠিকাদারদের কাজের জন্য আটকে থাকায় সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।জামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য এক বছরের অধিক সময় ধরে নির্মাণ সামগ্রী রেখে বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করেন ঠিকাদার। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিগত তিন মাস ধরে পাশের গোয়ালন্দ-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণের জন্য আরেক ঠিকাদার বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখেছেন স্কুলের মাঠ জুড়ে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেওয়া হলেও তারা নির্মাণ সামগ্রী অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। রাস্তা সংস্কারের নির্ধারিত সময় পার হতে চললেও তাদের কাজও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী বজলুল রহমান জানান, গোয়ালন্দ-ফরিদপুর সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার দেখে আমি ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে শিগগির কাজ শুরু করা হবে। কাজ শেষ না হওয়ায় বিদ্যালয় মাঠের খেলাধুলা বন্ধ এবং জনসাধারণের কিছু সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। স্কুল খুললে তারা মাঠ থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেবে।