স্কুল সংস্কারের টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি |

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিদ্যালয় মেরামত না করেই এক কোটি ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ। এ ছাড়াও স্লিপ প্রকল্পের আরো ৭৭ লাখ টাকা বিনা বিল-ভাউচারে উত্তোলন করেছেন তিনি।

প্রথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার করতে এক কোটি ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিবি-৪) আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় মেরামত করতে এসব অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বরাদ্দের টাকা এলেও যথাসময়ে তা উত্তোলন করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, এসব টাকা অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এসব টাকা সংস্কারকাজে ব্যয় করা হয়নি। পরে গত ২৯ জুন কৌশলে কোনো বিল ও ভাউচার ছাড়াই টাকা উত্তোলন করে নেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ। ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে এসব বিল উত্তোলন করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়।

এ ছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবছরের স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (স্লিপ) প্রকল্পের আওতায় ২৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব বরাদ্দের টাকাও নির্দিষ্ট সময়ে উত্তোলন করা হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কায় ২৯ জুন তড়িঘড়ি করে এসব টাকা তুলে নেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘বিদ্যালয় মেরামত ও স্লিপের টাকাগুলো ৩০ জুনের মধ্যে উত্তোলন না করলে তা ফেরত যেত। মূলত করোনার প্রভাবে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। সে জন্য কাজ না করেই অগ্রিম টাকাগুলো উত্তোলন করে শিক্ষা অফিসের ব্যাংক হিসাবে রাখা হয়েছে।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, ‘কাজ না করে বিল উত্তোলন করার সুযোগ নেই। টাকাগুলো যৌথ অ্যাকাউন্টে রাখলে সমস্যা নেই।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041470527648926